বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুল পড়তে থাকলে এবং একটা পর্যায়ে টাক পড়ে গেলে তাও মেনে নেওয়া যায় কিন্তু যদি অল্প বয়সে চুল পড়ে মাথায় টাক পড়তে শুরু করে তবে তা রীতিমত ভয়ঙ্কর! চুল পড়া ও টাক সমস্যা থেকে পরিত্রাণে কিছু ঘরোয়া সমাধান।
চেষ্টা করে দেখতে পারেন কোনটি আপনার জন্য ভালো কাজ দেয়:
আমাদের চুল ও মাথার স্ক্যাল্প ভালো রাখতে এবং চুল পড়া বন্ধ করতে সবচেয়ে বেশি কাজ করে নারিকেলের দুধ।
নিয়মিত নারিকেলের দুধ ব্যবহারে চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নারিকেল কুরিয়ে নিয়ে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে ছেঁকে দুধ বের করে নিতে হবে।
এবার ২০ মিলি নারিকেল তেল, ১০ মিলি আমলকি তেল এবং দুই টেবিল চামচ লেবুর রস মিলিয়ে নিন। কিছুক্ষণের জন্য রেখে নিন। এই তেল সপ্তাহে দুই দিন ভালোভাবে মেখে ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করুন। এতে যেমন চুল পড়া কমে যাবে তেমনি খুশকির যন্ত্রণা থেকেও রেহাই দেবে।
আমলা তেল, নারকেল তেল, বাদাম তেল বা এমনকি জলপাই তেল ১০ মিনিটের ম্যাসাজ আপনার চুল মজবুত করবে। আর তেল ম্যাসাজের ফলে আমরা মাথাব্যথা ও মানসিক চাপ থেকেও পরিত্রাণ পেতে পারি।
মেথি কয়েক মিনিট ভেজে গুঁড়ো করে নারিকেল তেলের মধ্যে দিন। সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন এই তেল মাথায় নিয়মিত দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। আপনার চুল পড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে এই তেল।
চুল পড়া বন্ধে, রং করা, চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বহু আগে থেকেই আমরা মেদেহি ব্যবহার করে আসছি।
সরিষা তেলে মেহেদির পাতা মিলিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এই তেল সপ্তাহে দুইবার ব্যবহারে কাঙ্ক্ষিত ফল পাবেন।
সমপরিমাণ মধু এবং অলিভ ওয়েল নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ সপ্তাহে দুইবার পুরো মাথায় মেখে ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। ৩ থেকে ৪ মাস এটা ব্যবহার করুন।
পেঁয়াজ মাঝ থেকে কেটে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় মাথার যে অংশে চুল নেই সেখানে ঘষে ঘষে রসটুকু লাগিয়ে নিন। তারপর মধু মাখুন।
শুকনো আমলকি টুকরো করে কেটে নারকেল তেলে দিয়ে জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা হলে একটি বোতলে রেখে দিন। এই তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া যেমন কমবে, তেমনি চুলের বাড়বেও দ্রুত হবে।