খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা কেবল চুলের ক্ষতির কারণ নয়। এর বাইরেও অনেক কারণে ক্ষতি হতে পারে সাধের চুলের। সূর্যের অতিরিক্ত তাপ তো আছেই! এমনকি হেয়ারস্টাইল করতে গিয়ে নানান ধরনের প্রসাধনী ও তাপীয় যন্ত্রের ব্যবহারেও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রইল এসব সমস্যার উপযোগী সমাধানও।
রাসায়নিক ক্ষয় : চুল ক্ষয়ের অন্যতম কারণ রাসায়নিক ক্ষয়। ব্রাজিলের কেশ-রূপচর্চাকর বেনার্দো ভাসকোসেলোস রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, রাসায়নিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া চুল ভঙ্গুর ও পড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। ব্লিচিং ব্যবহার করা জলে তা চুলের গভীরে প্রবেশ করে মূল পিগমেন্ট নষ্ট করে। এটা চুলের প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয়। সমস্যা থেকে উত্তরণে সহনীয় এমন পণ্য ব্যবহার করা উচিত। ভাসকোসেলোস জানান, চুলের আর্দ্রতা রক্ষা করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর্দ্রতা রক্ষা করে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষয় কমানো সম্ভব। ক্যালিফোর্নিয়ার কেশ-স্টাইলিস্ট ব্রেন্ডেটা অ্যাশলি, রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের আগে চুলকে শক্তিশালী করে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তাপীয় ক্ষয় : তাপীয় যন্ত্র যেমন- স্ত্রেইট বা কার্ল আয়রন ও ব্লো ড্রায়ার ব্যবহারে অতিরিক্ত তাপের কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাসকোসেলোসের মতে, অতিরিক্ত তাপের কারণে চুলের কিউটিকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুলের কেরাটিনের আকার নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুলের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়। এই সমস্যা কমানোর সহজ উপায় হলো চুলে তাপ প্রয়োগের মাত্রা কমানো। এ ক্ষেত্রে চুলে আগে ‘হিট প্রটেকশন’ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
সূর্যের কারণে ক্ষয় : সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি কেবল ত্বক নয়, চুলের কিউটিকলের ক্ষতি করে। ফলে চুল শুষ্ক ও আগা ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। কোনো প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা না নিলে কড়া রোদে চুল ক্ষতিগ্রস্ত, বিবর্ণ ও শুষ্ক হয়ে যায় এবং সর্বোপরি চুল পাতলা করে ফেলে। ভাসকোসেলোসের মতে, আগা ফাটা কমানোর দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে আমি সূর্যালোক থেকে বাঁচতে ‘ইউভি প্রোটেকশন’ ব্যবহারের পরামর্শ দেই।
এ ছাড়া চুল জোরে ও ভুল নিয়মে আঁচড়ালে অথবা জট ছাড়ানোর জন্য টানাটানি করা, অতিরিক্ত চুল আঁচড়ানো, শক্ত করে চুল বাঁধা ইত্যাদি কারণে এই ধরনের ক্ষয় হয়ে থাকে। এই সমস্যার সমাধান সহজ। চুলের পরিচর্যায় ক্ষতিকর কারণগুলো এড়িয়ে চলা।