ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে যায়। একবার ডায়াবেটিস হলে তা সারা জীবনের জন্যে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। খাবার খাওয়ার পর শরীর সেই খাবারের শর্করাকে ভেঙে চিনিতে (গ্লুকোজ) রূপান্তরিত করে, যা শরীরের কোষে শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে ডায়াবেটিস হলে কোষগুলো এই চিনিকে যথাযথভাবে গ্রহণ করতে পারে না এবং তা রক্তে জমা হতে থাকে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
চিনি বেশি খাওয়ার সঙ্গে ডায়াবেটিসের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তবে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ানোর ক্ষেত্রে পরোক্ষ প্রভাবক হিসেবে কাজ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট মেডিক্যাল নিউজ টুডে-এর মতে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে সরাসরি ডায়াবেটিস না হলেও, এটি স্থূলতা, হৃদরোগ, এবং ডায়াবেটিসের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার বা চিনিযুক্ত পানীয় বেশি খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
প্রচুর চিনি গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হয়, যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতা ইনসুলিন প্রতিরোধের সমস্যা বাড়ায়, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। টাইপ-২ ডায়াবেটিস মূলত ইনসুলিন প্রতিরোধের কারণে হয়। চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
ইনসুলিন প্রতিরোধের ফলে শরীরের কোষগুলো ইনসুলিনের প্রতি কম সংবেদনশীল হয়ে ওঠে, ফলে রক্তে গ্লুকোজ জমে এবং ডায়াবেটিসের আশঙ্কা তৈরি হয়।