যে হারে গরম বেড়েছে তাতে বাড়ির বাইরে পা রাখা দায় হয়ে উঠেছে। চড়া রোদে ও গরমে ঘেমে-নেয়ে বেহাল দশা হচ্ছে বঙ্গবাসী। গরমের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আপাতত কয়েকমাস কোনও উপায় নেই। তাই ঘাম বেরোনোর সঙ্গে শরীর যাতে দুর্বল না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কিন্তু ঘামের দুর্গন্ধকে কী ভাবে ঠেকাবেন? সেই উপায়ও রয়েছে। ঘেমে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছাড়ে না। ঘেমে যাওয়ার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সেটা ঘটে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ ডিওডোরেন্ট, ট্যালকম পাউডার ব্যবহারের মাধ্যমে ঘামের দুর্গন্ধ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু এগুলো আপনাকে সাময়িকভাবে সাহায্য করলেও পুরোপুরি কার্যকর হয় না। তাই সম্পূর্ণরূপে ঘামের গন্ধ থেকে কীভাবে রেহাই পাবেন, রইল ঘরোয়া উপায়।
বেকিং সোডা- বেকিং সোডা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে দারুণ উপযোগী। বেকিং সোডায় সামান্য পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে বগলে লাগান। এই পেস্টে লেবুর রসও মেশাতে পারেন। ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডার সঙ্গে ট্যালকম পাউডার মিশিয়েও আন্ডারআর্মস বা পায়ের তলায় লাগাতে পারেন। এতে ঘাম কম হবে এবং ঘাম হলেও গন্ধ ছাড়বে না।
নারকেল তেল- ঘামের সঙ্গে দুর্গন্ধ ছাড়ার অন্যতম কারণ হল ব্যাকটেরিয়া। ঘামের সঙ্গে মিশে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলিই মূলত দুর্গন্ধের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই ব্যাকটেরিয়া দূর করতে নারকেল তেল ব্যবহার করুন। গোসলের শেষে নারকেল তেল মেখে নিন। এতে ত্বক নরম ও দাগহীন থাকবে।
পাশাপাশি ঘাম হলেও শরীর থেকে গন্ধ ছাড়বে না। শরীরের যে-যে জায়গায় বেশি ঘাম হয়, সেখানে গোসলের আগে অল্প করে নারকেল তেল লাগিয়ে মালিশও করতে পারেন। এতেও আপনি উপকার পাবেন।
গোসলের পানিতে যা কিছু মেশাবেন- পানিতে আপনি গোলাপ পানি মিশিয়ে গোসল করতে পারেন। গোলাপ পানি প্রাকৃতিক কুলান্ট। প্রয়োজনে আপনি আন্ডারআর্মসেও গোলাপ পানিতে লাগাতে পারেন। এছাড়া গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়েও গোসল করতে পারেন। এতেও শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধ ছাড়বে না।
পানিতে ফোটকিরি মিশিয়ে গোসল করতে পারেন। কিংবা পুদিনার পাতা বেটে পানিতে মিশিয়ে দিতে পারেন। এই উপায়ে গোসল করলে ঘাম থেকে দুর্গন্ধ ছাড়বে না। তার সঙ্গে শরীর থাকবে গরমেও তরতাজা।