ভ্যাপসা গরমে প্রচুর ঘাম হয়। লোমকূপে ঘাম জমা হয়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ৠাশ আর বাড়ে ঘামাচির উপদ্রব।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল। অ্যালোভেরা ছোট ছোট টুকরো করুন। চারপাশ থেকে কিনারের বন্ধ অংশগুলো কেটে ফেলুন। এবার ওপরের শক্ত আস্তর তুলে ফেললেই জেল বের হয়ে অাসবে। শরীরের যেসব স্থানে ঘামাচি রয়েছে সেসব স্থানে অ্যালোভেরা জেল ঘষে নিন।
মুলতানি মাটি: চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল ও পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন।
আলু: আলু পাতলা পাতলা করে স্লাইস করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। এতে ঘামাচি কমে যাবে ও অস্বস্তিকর চুলকানি থেকেও রেহাই পাবেন।
বেকিং সোডা: বেকিং সোডাতে রয়েছে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিজ। এটি ডিপ ক্লিনজার হিসেবেও পরিচিত। বেকিং সোডা ইনফেকশন দূর করে ও ত্বকে আরাম দেয়। পরিমাণমতো বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ঘামাচির ওপর লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
বরফ থেরাপি: এক টুকরো সুতির পাতলা কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে পুটুলি বানান। এবার আস্তে আস্তে ঘামাচির ওপর বরফের পুটুলি বুলিয়ে নিন ও চেপে ধরুন। দিনে ছয় ঘণ্টা অন্তর এভাবে দুই/তিন দিন করলেই ভালো ফল পাবেন।