বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব শুধু যে মুখের ওপর দেখা যায় তা নয়। হাত, পায়ের চামড়াও কুঁচকাতে শুরু করে। বয়স হলেই হাতের মাংস কমে যেতে শুরু করে। যার ফলে জীর্ণ দেখায় হাত। আর খুব স্বাভাবিক ভাবেই বলিরেখার সমস্যাও দেখা দেয় হাতে।
এরপর আপনি যতই নখের যত্ন নিন। নিয়মিত ম্যানিকিওর করান, নেলপালিশ পরুন- কোনও ভাবেই হাতের লাবণ্য ধরে রাখতে পারবেন না। অনেক ক্ষেত্রে মুখের আগে হাতেই বয়সের ছাপ দেখা যায়। এর আরেকটি কারণ হলো হাতের যত্ন না নেওয়া। আমরা আমাদের মুখশ্রী নিয়ে, মুখের সৌন্দর্য বজায় রাখা নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে থাকি যে, হাত ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সেভাবে খেয়াল রাখি না।
হাতে বলিরেখা দেখা দেওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন- আপনার হাতের ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়, তাহলে তা দ্রুত বলিরেখা হতে পারে। আপনি যদি রাসায়নিক সমৃদ্ধ হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করেন, তবে এটিও হাতে বলিরেখার পড়ার কারণ হতে পারে। সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে এবং মরা চামড়া জমে গেলেও হাতে বলিরেখা হতে পারে। হাতের ব্যায়াম না করলে সঠিক রক্ত সঞ্চালন না হওয়ার কারণেও হাতে বলিরেখা দেখা দেয়।
বাজারে আপনি অনেক নামীদামি হ্যান্ড ক্রিম পেয়ে যাবেন যা অবশ্যই আপনার হাতের ত্বককে ময়শ্চারাইজ করবে। তবে এটি ত্বককে টানটান করার জন্য যথেষ্ট নয়। এ ক্ষেত্রে আপনি এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করে দেখতে পারেন, যা আপনার হাতকে সুন্দর করতে সহায়ক হবে।
অ্যালোভেরা জেল এবং ডিমের সাদা অংশ-
এর জন্য আপনি অ্যালোভেরা জেল এবং ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পারেন। ১ চা চামচ ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে ১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হাতের ত্বকের ওপর লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক ত্বকের বার্ধক্য রোধ করে। ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে হাতের ত্বক ক্ষতি হওয়ার যে ঝুঁকি থাকে, তা কমায়।
পাকা পেঁপে ও মধু-
১ চা চামচ পাকা পেঁপের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি হাতের ত্বকের ওপর লাগান এবং ১৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। পেঁপেতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। যেখানে মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে।