আসবাব ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়। ঘরের পরিবেশকে মোহনীয় করে ফুল। সুবাস ছড়ায় অন্দরে। আর সেই ফুলকে ধারণ করতে প্রয়োজন দৃষ্টিনন্দন ফুলদানি। মনে রাখবেন, ফুলের সৌন্দর্য মূলত ফুটে ওঠে নকশাদার ফুলদানিতে। ফুল আর ফুলদানির রঙের সমন্বয় ঘটাতে পারলে তো কথাই নেই। ঘর হয়ে উঠবে একদম ফিট।
ঘরের কোণ, শোকেসের ওপরে ফাঁকা জায়গা, টিভির ওপর, ড্রেসিং টেবিলের ওপর বা বেডসাইড টেবিলে রাখতে পারেন মনের মতো ডিজাইনের ফুলদানি। ফুলের ঘ্রাণ বেশি নিতে চাইলে বিছানার কাছেই রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, যেখানেই ফুলদানি রাখুন না কেন, ঠিক মানিয়ে যাবে। ফুল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পুরোটাই আপনার। ঘ্রাণের কথা চিন্তা করলে সাদা ফুল বেশি প্রাধান্য পাবে। রং আর সৌন্দর্যের কথা চিন্তা করলে বাহারি নানা জাতের ফুল প্রাধান্য পেতে পারে। শুধু ফুল রাখার পাত্র হিসেবেই নয়, শোপিস হিসেবেও ফুলদানির থাকে সমান কদর।
ক্রেতাদের রুচির প্রতি খেয়াল রেখে বিক্রেতারা রকমারি ফুলদানির পসরা সাজান। দেশি ফুলদানি তো আছেই! পাশাপাশি চায়না, জাপান, থাইল্যান্ড, ইরান এবং ভারতের তৈরি ফুলদানিও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। আছে বাঁশ, বেত, কাঠ, মাটি থেকে শুরু করে সিরামিক, ক্রিস্টাল, প্লাস্টিক ও ফাইবার উপাদানের তৈরি ফুলদানি। ছোট, মাঝারি কিংবা বড় তিন ধরনের ফুলদানি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ত্রিভুজ, চৌকোণা, ডিম্বাকৃতির ফুলদানি ক্রেতার রুচিতে ঘটায় ভিন্নতা।
তবে অন্দর সাজে মেঝেতে ফুলদানি রাখতে চাইলে সেটা হতে হবে বড়। আর টেবিলে ফুলদানি সাজিয়ে রাখতে চাইলে মাঝারি কিংবা ছোট হওয়াই ভালো। ঘরে দেশীয় ঘরানার মাটির ফুলদানি ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ ঘটায়। কিছু ফুলদানিতে ঘড়ি কিংবা পেনহোল্ডার লাগানো, কোনোটা দেয়ালে ঝুলানো, আবার কোনোটা টেবিল ল্যাম্প সেট করা আছে। ফুলদানির এমন বৈশিষ্ট্যই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে।