ক্যানসার নির্মূল করা এখনও সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে এর চিকিৎসা করা যায়। ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’-এর মতে, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন ক্যানসারে মারা যায়। সময়মতো ধরা পড়লেই ক্যানসারের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু সচেতনতার অভাবে মানুষ অনেক সময় এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে উপেক্ষা করে। কিছু সমস্যা আছে যেগুলোকে আমরা প্রায়ই ছোট বলে বিবেচনা করে উপেক্ষা করি। কিন্তু সেগুলো ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে।
জেনে নিন ক্যানসারের প্রাথমিক কয়েকটি লক্ষণ-
মুখের ক্যানসার প্রায়ই মুখের ভেতরে এবং বাইরের অংশে হতে পারে যেমন ঠোঁট, মাড়ি, জিভ, গালের ভেতরে, মুখের উপরের অংশ অর্থাৎ তালু, জিভের নিচে।
মুখের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ : মুখের ক্যানসার তাৎক্ষণিকভাবে ধরা পড়ে না। তবে কয়েক দিন পর এর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। মুখের ক্যানসারের কারণে মুখের ভেতরে সাদা ছোপ দেখা দেয়। যার কারণে দাঁত শিথিল হতে শুরু করে। মুখের ভেতরে পিণ্ড দেখা দিতে থাকে। মুখের ক্যানসার হলে কানেও ব্যথা শুরু হয়। যখন রোগ বাড়তে থাকে, তখন খাবার খাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
মুখের ক্যানসারের কারণ : মুখের ক্যানসারের অনেক কারণ থাকতে পারে। ডিএনএ-তে মিউটেশনের মতো। এই ধরনের রোগ প্রায়ই ডিএনএ-তে ব্যাঘাত ঘটায়। দূষণ, তামাকের রাসায়নিক পদার্থ, সূর্যের রশ্মি, খাদ্যে বিষাক্ত পদার্থ, বিকিরণ, সংক্রমণ, অ্যালকোহল, বেনজিন, অ্যাসবেস্টস, আর্সেনিক, বেরিলিয়ামের মতো ডিএনএ-তে ব্যাঘাতের অনেক কারণ থাকতে পারে। এই সব ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
এই লোকেদের মুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি : যারা প্রচুর তামাক সেবন করেন। তারা মুখের ক্যানসারের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। যেমন- সিগারেট, বিড়ি, চুরুট, তামাক। যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করেন তাদেরও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।