গরমের দিনগুলোয় ট্যান, ব্রণ ও জ্বালাপোড়া যেন নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। দেখা দেয় দাগছোপ, রোদেপোড়া ভাব ও ডার্কসার্কেল। বাইরের তাপও ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। এমন দিনে ত্বকের পরিচর্যায় বাহারি প্রসাধনীর প্রয়োজন নেই। বাজারের থলিতে কেবল শসা থাকলেই হবে। মিলবে প্রশান্তি, হবে মুশকিল আসান।
শশা ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায়। ত্বক থেকে টক্সিন অপসারণ করতে সহায়তা করে। গরমে রোজ শসার ব্যবহার আর একটু বাড়িয়ে দিলে শরীর ও ত্বক, দুই-ই ভালো থাকবে।
চোখের যত্ন :
সারা দিন ল্যাপটপের স্ক্রিনে থাকে চোখ। সন্ধ্যায় কোথাও যাওয়ার সময়ে সাজতে গেলে দেখা যায়, চোখের তলাটা ফোলা ফোলা দেখায়। দুই টুকরো শসা গোল করে কেটে, পানিতে ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। কাজের শেষে মাত্র ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে থাকতে হবে। শসার টুকরো দুটি চোখের পাতার ওপরে দিয়ে মাথাটা এলিয়ে নিন। কিছুক্ষণেই চনমনে দেখাবে আপনাকে।
ত্বকের যত্ন :
১. আপনার ত্বক কি শুষ্ক? শসা দিয়ে মাস্ক বানিয়ে ফেলুন। শসার মধ্যে অনেকটা পানি থাকে। গরমে আপনার যেমন গলা শুকিয়ে যায়, তৃষ্ণা পায়, ত্বকেরও তেমনি অবস্থা। খোসা সমেত শসা কুচি করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার রস ছেঁকে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকোতে দিন নিজের নিয়মে। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অল্প কদিনেই ঝলমল করবে ত্বক।
২. মাস্ক মাখারও যদি সময় না পান, তবে একটা পাত্রে পানি ভরে তাতে শসা কেটে ফেলে রাখুন। রাতভর তেমনভাবেই রেখে দিন। একটি কাচের পাত্রে ভরে রাখুন। শসার পানিতে ভিটামিন সি এবং ক্যাফেইক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার চোখ-মুখে যেমন আরাম হবে, তেমনি চেহারায় ঠান্ডা ভাব আনবে।
আরও যত ব্যবহার :
♦ শশা কুচি করে রস বের করে নিন। এরপর এই রস অ্যালোভেরা বা গ্রিন টির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগান। গ্রীষ্মের গরমে ত্বক সতেজ এবং সজীব রাখতে এটি ভালো ফল দেবে।
♦ শসাতে ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। তাই এটিকে অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করা যেতে পারে। যা ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার পাশাপাশি প্রশান্তি দেবে। শসা, মধু এবং দই একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মাস্ক তৈরি করুন। এটি ত্বককে হাইড্রেটিং করবে।
♦ শসার পিউরি নিন এবং এতে দুই চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবার ১০-১৫ মিনিটের জন্য থাকতে দিন। তারপর এটি ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার মুখে লাগান।
♦ মুখ পরিষ্কার করার পর টোনার হিসেবেও এই জেল ব্যবহার করতে পারেন। শসা টুকরো করে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ছেঁকে নিন। শসার পানিটি একটি স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করুন। এবার এতে এক চা চামচ গোলাপজল যোগ করুন। এটি টোনার হিসেবে ৩-৪ দিন ব্যবহার করতে পারবেন।