অনেকেরই গ্যাসের সমস্যা আছে। যাদের পেট ফোলা বা গ্যাসের সমস্যা আছে, তাদের শরীর কোনও খাবারই সহ্য করতে পারে না। খাবারে কিছু পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা এড়ানো যায়। যাদের পেট ফোলার সমস্যা আছে তাদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি। যেমন-
বিনস: পেট ফুলে যাওয়া সমস্যা থাকলে তাদের বিনস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। বীজ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট থাকায় ফোলা সমস্যা বাড়ায়। এতে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, আলফা-গ্যালাক্টোসাইড নামক এক ধরনের চিনি থাকে, যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে গ্যাস হয়। এগুলি খেলে গ্যাস এবং ফোলাভাব বাড়তে পারে।
মসুর ডাল: কারও কারও মসুর ডাল খেলে পেট ফুলে যাওয়া সমস্যা বাড়তে থাকে। প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং খনিজ সমৃদ্ধ, মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা গ্যাস সৃষ্টি করে। পেট ফোলার সমস্যা থাকলে মসুর ডাল এড়িয়ে চলুন।
কিছু পানীয়: কিছু কার্বনেটেড পানীয় যেমন সোডা এবং কোমল পানীয় খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এসব পানীয় খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা হয়। কার্বনেটেড পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে, যা একটি গ্যাস। এসব পানীয় বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যা হয়।
ফুলকপি, বাঁধাকপি: ফুলকপি খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়ে। এটি অন্ত্রে যায় এবং আলফা-গ্যালাকটোসাইড যৌগ তৈরি করে, যা গ্যাস তৈরি করে। এ কারণে গ্যাসের সমস্যা থাকলে বাঁধাকপি, ফুলকপি এড়িয়ে চলা উচিত।
পেট ফোলা নিয়ন্ত্রণে ধনিয়া, জিরা এবং মৌরি: যদি পেট ফাঁপার সমস্যায় অস্থির থাকেন, তাহলে ধনিয়া, জিরা এবং মৌরির পানি খেতে পারেন। এজন্য ধনিয়া, জিরা এবং মৌরি বীজ পিষে গুঁড়া তৈরি করুন। এই গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভালো করে নেড়ে খেয়ে নিন। এই পানি খেলে গ্যাস ও ফোলার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।