English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

গাড়িতে চড়লেই বমি আসে, কোন উপায়ে সমাধান মিলবে?

- Advertisements -

নাসিম রুমি: কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় গাড়িতে উঠলেই মনমেজাজ ভালো হয়ে যায় সবারই। তবে কিছুক্ষণ পর থেকে অনেকেরই শরীর খারাপ লাগে, আবার বমি বমি ভাব হতে থাকে। আবার মাথা ঘুরছে বলে মনে হয়।

অনেকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বমি করেও ফেলেন। একে ডাক্তারি ভাষায় মোশন সিকনেস বলা হয়। চিকিৎসকদের মতে, গাড়ি চলার সঙ্গে এই শারীরিক সমস্যা সম্পর্কিত।

মোশন সিকনেস কী ও কেন হয়?

গাড়ি চললেও আমরা কিন্তু স্থির থাকি। এ সময় আমাদের শরীর গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে চলতে থাকে। আমাদের চোখ, কান, পেশি ও বিভিন্ন জয়েন্ট গতি সংবেদনশীল অঙ্গ বা মোশন সেন্সিং অর্গ্যান। যখন গাড়ি চলছে, তখন আমাদের চোখ চারপাশের জিনিসকে চলমান দেখে।

কানের ভেতর থাকা তরলও গতিকে বুঝতে পারে। এদিকে পেশি ও জয়েন্ট স্থির থাকে। ফলে কান, চোখ মস্তিষ্ককে বোঝাতে চায় শরীর চলছে। পেশি ও জয়েন্ট বোঝাতে চায় শরীর স্থির আছে। এসবের মাঝে পড়ে ব্রেন গুলিয়ে ফেলে সবটা। যার ফল হলো বমি।

মোশন সিকনেসের লক্ষণ কী কী?

১. বমি বমি ভাব২. মাথা ঘোরা৩. মাথাব্যথা৪. ক্লান্ত লাগা৫. অমনোযোগী৬. হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।

এর সমাধান কী?

চোখ বুজে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিন

চোখ বুজে থাকলে একটা অঙ্গ ব্রেনে সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেবে। পাশাপাশি ঘুমিয়ে পড়লে মস্তিষ্কও খাটনি কমবে। এতে বমি বমি ভাব আর পায় না।

আদাকুচি মুখে রাখুন

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আদা এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তাই মুখে একটি আদাকুচি রেখে দিতে পারেন। মাঝে মাঝে চিবোতে পারেন এটি।

চিউইং গাম খান

চিউইংগামের মধ্য়ে একটি ঠান্ডাভাব থাকে। যা এই সময় উপকারী হতে পারে।

দূরের স্থির কিছুর দিকে তাকানো

দূরে স্থির কিছু দেখা যাচ্ছে? সেদিকেই তাকিয়ে থাকুন। এতে চোখ দেখবে সেটি স্থির রয়েছে। ফলে শরীর চলছে, এমন কোনো সংকেত মস্তিষ্ককে পাঠাবে না।

বাতাস লাগান শরীরে

গাড়ির জানালার কাঁচ নামিয়ে দিতে পারেন। জানালা দিয়ে আসা বিশুদ্ধ হাওয়া কিছুটা আরাম দেবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন