কাঠফাটা রোদে চুলের অবস্থা নাজেহাল? রোদে থাকতে থাকতে চুলের মসৃণতা ফিকে হয়ে যাচ্ছে? ঘরোয়া ট্রিটমেন্টে চুল ফিরে পাবে প্রাণ। রইল রুক্ষতা কমানোর কিছু ঘরোয়া দাওয়াই।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার করুন। অফিসে বেরোতে হয় বলে প্রতিদিন চুল ভিজিয়ে গোসল করবেন না। এতে চুলের ক্ষতি তো হবেই। বাইরের দূষণ, ধুলো, ঘাম সব মিলিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে ময়লা জমবে। তাই প্রতিদিন পানি দিয়ে ধুয়ে এগুলোকে বিদায় করুন। চুল উজ্জ্বল থাকবে। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন শ্যাম্পু করুন। এ সময় স্ক্যাল্পে ময়লা বেশি জমে বলে শ্যাম্পু নিয়মিত করতে হয়।
সাধারণত শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রেই রুক্ষতা বেশি দেখা দেয়। তাই শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এতে চুলের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর হলেও চুল রুক্ষ হবে না। চুল এবং স্ক্যাল্প দুটোই থাকবে পরিষ্কার। চুল তার ঔজ্জ্বল্যতা হারাবে না। ঠিক এ কারণেই কিন্তু ডিপ কন্ডিশনিং ভীষণ প্রয়োজন। সেই সঙ্গে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। নিয়মিত চুলের যত্নে চুলের রুক্ষতা কমবে।
একটা অ্যালোভেরার জেল বের করে চটকে নিন। এতে এক টেবিল চামচ গ্রিন টি, এক টেবিল চামচ মেথিগুঁড়ো মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। চুলের গোড়া থেকে ডগা অব্দি মিশ্রণটি মিশিয়ে আধাঘণ্টা পর পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
দুটো ডিম এবং দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। আধাঘণ্টা রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ফিরে আসবে চুলের স্বাস্থ্য এবং দেখাবে মসৃণ।
চুল নরম এবং মসৃণ রাখতে নারিকেলের দুধ খুবই উপকারী। এক কাপ নারিকেলের দুধ পরিমাণ মতো কারিপাতা গুঁড়ো এবং দুই টেবিল চামচ কমলালেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণটি তৈরি করুন। আধাঘণ্টা মিশ্রণটি রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কারিপাতা চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে।
একটা ডিম, এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, একটা পাতিলেবুর রস এবং এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি পুরো চুল এবং মাথার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর পরিষ্কার পানি বা মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
দুটো ডিমের সাদা অংশ, চার টেবিল চামচ দুধ, তিন টেবিল চামচ মধু এবং একটি কলা চটকে মেশান। এবার ক্রিমের মতো মিশ্রণটি অল্প অল্প চুলের গোড়া থেকে ডগা অব্দি ব্রাশে লাগান। আধাঘণ্টা রাখুন। মাইল্ড শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।