বসন্তকাল! অথচ প্রকৃতিতে প্রচণ্ড দাবদাহ। সূর্যের খরতাপ, উচ্চ তাপমাত্রা আর সেই সঙ্গে শুষ্ক আবহাওয়া দেহের আর্দ্রতা কমিয়ে কর্মোদ্যম আর সুস্থতা ব্যাহত করছে। আর এমন সময়েই চোখ বুজে এক গ্লাস ফলের রসের কথা ভাবলেই ভেতরটায় শীতল সুখ অনুভূত হয়। এমন আবহাওয়ায় তৃষ্ণা আর পুষ্টি— মিটিয়ে সঞ্জীবনী শক্তি ও সতেজ অনুভূতির সঞ্চার করে এক গ্লাস খাটি ফলের রস।
সত্যিকার অর্থে এ সময়ে শরীরের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ধরে রাখা অর্থাৎ শরীরকে পানিশূন্য হতে না দেওয়ার ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তাই আসুন জেনে নিই যেসব ফলের রসে শরীরের যাবতীয় ক্লান্তি দূর করে—
লেবুর শরবত
গরমে পান করুন লেবুপানির শরবত। ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ লেবুর শরবত খুবই উপকারী। পুষ্টিগুণে ভরপুর, সেই সঙ্গে দেহের পানির চাহিদাও পূরণ হবে।
ডাবের পানি
শরীরের বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু করে ডাবের পানি। হজমে সমস্যা থাকলে এ সময় খেতে পারেন ডাবের পানি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ডাবের পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
আনারসের জুস
আনারস ভিটামিন এ, বি ও সির একটি উৎকৃষ্ট উৎস। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ব্রোমেলেইন, বিটা-ক্যারোটিন, মিনারেল, শর্করা, ফাইবার, আয়রন, প্রোটিন ও সহজপাচ্য ফ্যাট খুবই অল্প পরিমাণে। এ ছাড়া প্রতি কেজি আনারস থেকে প্রায় ৫০০ ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায়।
আনারসে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকায় এবং এতে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম হওয়ায় এই ফল ওজন কমাতে সহায়ক। এটি রুচিবর্ধক ফল। তাই মুখে রুচি না পেলে আনারস খান। প্রচুর ক্যালসিয়াম, মিনারেলস, ম্যাংগানিজ ও ভিটামিন থাকে। মুখের ভেতরের জীবাণুর আক্রমণ রোধ করে। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে।
এসব ফলের রস অত্যন্ত উপাদেয় এবং সর্বজনপ্রিয় একটি পানীয়। অন্যান্য ক্ষতিকর কৃত্রিম রং, ফ্লেভার ও প্রিজারভেটিভ, অ্যাডিটিভযুক্ত কোমল পানীয় স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই পানি ব্যতীত অন্য পানীয়ের ক্ষেত্রে খাঁটি ফলের রস বা জুস সব সময় অধিক পছন্দনীয়। এ ছাড়া ফলের রস খুবই রুচিবর্ধক। গরমে, ক্লান্তিতে এক গ্লাস ফলের রস পানিশূন্যতা দূর করে দেহ–মনে আনে চনমনে ভাব, আর সেই সঙ্গে জোগায় পুষ্টি।