চিনিযুক্ত বা মিছরিযুক্ত খাবার না খেয়ে বাদাম খেলে স্বাভাবিকভাবেই এটি স্বাস্থ্যকর। প্রতিটি বাদামের পুষ্টি বা স্বাস্থ্যগুন ভিন্ন। বাদাম হল উদ্ভিদ-ভিত্তিক প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবারের একটি বিস্ময়কর উৎস। ভিন্ন বাদামের গুন ভিন্ন তাই বলে একটির চেয়ে অন্যটি বেশি স্বাস্থ্যকর তা নয়।
কাঠ বাদাম: ত্বকের যত্ন নেয়কাঠ বাদাম আমরা সবাই খাই। কিন্তু কাঠ বাদাম আমাদের শরীরের কী উপকারে আসে জানেন? ত্বকের যত্নের জন্য নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কাঠ বাদাম। এই বাদাম আপনার ত্বককে আরো স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করে তুলবে।
যারা ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন যেমন ত্বকের পিগমেন্টটেশনের সমস্যা তারা কাঠ বাদাম খেতে পারেন। কারণ এত আছে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। দূষণে আপনার ত্বকের কোষ যেন নষ্ট হয়ে না যায় সেই খেয়াল রাখে এই উপাদানগুলো। রোদের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেতেও সুরক্ষা দেয়।
এক গবেষণায় জানা গেছে নারীরা ১৬ সপ্তাহ ধরে বাদাম খাওয়ার ফলে ২০শতাংশ ত্বকের বলিরেখা কমে গেছে।
চিনাবাদাম : মানসিক চাপ কমায়
পার্কে বা কোথাও ঘুরতে গেলে আমরা এক মুঠো চিনাবাদাম নিয়ে বসে যাই। গল্প বা আড্ডা সাথেও চিনাবাদাম আমাদের চাই। কিন্তু নিরবে কিন্তু সে তার কাজ করে যাচ্ছে। চিনা বাদাম আপনার মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়।
গবেষণায় জানা গেছে প্রতিদিন ২৫ গ্রাম চিনাবাদাম খেলে আপনার কোলেস্ট্রেরল কমবে। এছাড়া হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে চিনাবাদম খুব পটু।
কাজু বাদাম: উচ্চ রক্ত চাপের জন্য
কাজু বাদাম একদম মাখনের মতো। বেশ ঘন। খেতেও মজা । আমরা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করি। স্বাদের সাথে সাথে পুষ্টিতেও ভরপুর।
কাজু বাদাম আপনার শরীরের পেশীর যত্ন নেয়। কারণ এত আছে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম। স্নায়ুর যত্ন নেয় সঙ্গে শরীরে শক্তি যোগায়। এ ছাড়াও আছে আয়রণ আপনার পেটের জন্যে খুব উপকারি। কোলেষ্ট্রেরলের পরিমান কমায়, রক্ত চাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।
পেস্তা বাদাম: প্রোটিন এর উৎস
পেস্তা বাদাম হলো প্রাকৃতিক প্রোটিনের প্রধান উৎস। এতে আছে অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, ফাইবার। এ ছাড়াও আছে ভালো চর্বি। সহজেই আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে এই বাদাম।
আখরোট: মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য সেরা
খেয়াল করবেন আখরোট দেখতে আনেকটা আপনার মস্তিষ্কের আকারের মতো। দেখতে যেমন কাজও করে তেমন।
আখরোট আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিডও সমৃদ্ধ, আছে এক ধরনের ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং এতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্ক ভালো রাখে।