নাসিম রুমি: শরীর সুস্থ রাখতে হলে বিভিন্ন সুঅভ্যাস রপ্ত করার বিকল্প কিছু নেই। দিনে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করা তেমনই এক সুঅভ্যাস। অন্যদিকে লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভীষণ কার্যকর। প্রতিদিন নিয়ম মেনে যদি এক গ্লাস লেবু পানি খান তাহলে স্বাস্থ্য যেমন পাবে নানা উপকার তেমনি ত্বকও থাকবে ভালো।
জেনে নিন কেন প্রতিদিন এক গ্লাস লেবু পানি খেলে কি কি উপকার পেতে পারেন-
ত্বকের যত্নে
লেবুর রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করে। ত্বকের জৌলুস বাড়াতে সাহায্য করে লেবুর রস। স্কিন ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে লেবুর রস বা লেবুজল। তাই বাড়িতে কোনও ফেসপ্যাক বা স্ক্রাব তৈরি করলে সেখানে মিশিয়ে নিয়ে পারেন লেবুর রস।
শরীরে যেসব অংশে ট্যান পড়ে বিশেষ করে কনুই, গলার ভাঁজ- এসব অংশে একটুকরো পাতিলেবু কেটে ঘষে নিতে পারেন। নিয়মিত ভাবে স্নানের আগে একটা করলে ট্যান দূর হবে অল্পদিনেই। এছাড়া কমায় বলিরেখার পরিমাণ। লেবুর রসের সঙ্গে সামান্য মধু আর অলিভ অয়েল মিশিয়ে খুব ভাল স্ক্রাব তৈরি করা যায়।এছাড়াও চিনি আর লেবুর রস মিশিয়েও তৈরি করা যায় ফেস স্ক্রাব।
স্বাস্থ্যের দেখভাল করতে
লেবুজল বা লেবুর রস খাওয়া সবসময়েই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। পাতিলেবু হোক বা যেকোনও মরশুমি লেবুর রস স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ। হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে লেবুর রস বা লেবুজল। শরীরের সমস্ত আবর্জনা বের করে বডি ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
লেবুজল বা লেবুর রস ওজন কমাতে সাহায্য করে। রোজ সকালে সামান্য গরম জলে অল্প পাতিলেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে লেবুর রস এবং লেবুজল। লেবুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন ইমিউনিটি সিস্টেম দৃঢ় করতে সাহায্য করে। বডি ডিটক্সিফিকেশন অর্থাৎ শরীরের ভিতরে থাকা সমস্ত নোংরা পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে লেবু।
অন্যান্য সুবিধা
অনেকসময় খাবার খাওয়ার পর ঠিকভাবে মুখ ধোয়া না হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এক্ষেত্রে লেবুর রস বা লেবুজল খেলে এই দুর্গন্ধ চট করে দূর হয়। গরমের দিনে অল্প চিনি আর নুন মিশিয়ে লেবুজল বা লেবুর রস খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। লু লাগে না। হিটস্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে। নিয়মিত ভাবে লেবুর রস বা লেবুজল খাওয়া উপকারি। তবে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে লেবুর রস বা লেবুজল খাবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে।