ডায়াবেটিস রোগীর জন্য করোনাভাইরাস আরও বেশি ভয়াবহ হতে পারে, তা প্রমাণিত। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা করোনা আক্রান্তদের বিপদ আরও বাড়াচ্ছে। যদিও অন্যান্যরাও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে করোনার প্রভাব হতে পারে মারাত্মক।
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কম থাকলে শরীরে ইনসুলিন কম উৎপাদিত হয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। এ ছাড়াও শরীরের রক্তের গতি কমতে শুরু করে। তাই ডায়াবেটিক রোগীর পক্ষে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করা কষ্টকর। এর প্রভাবে শ্বাসযন্ত্র, ফুসফুস এমনকি হৃদযন্ত্রও কার্যক্ষমতা হারাতে বসে।
তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন; তারা অবশ্যই কিছু লক্ষণের দিকে নজর দিন। না হলে বিপদ আরও বাড়তে পারে। জেনে নিন লক্ষণসমূহ-
>> করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডায়াবেটিস রোগীর অনেকেরই ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, চুলকানি ও অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
>> এ ছাড়াও হাত-পায়ের নখের লাল দাগ আরও বেশি করে দেখা দেয়। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে এমনটি হয়ে থাকে। তাই এমন লক্ষণ দেখলে অবহেলা করবেন না।
>> রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরের ক্ষত সহজে শুকায় না। তাদের ত্বক খুব রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। এমন লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
>> কোভিড নিউমোনিয়ার কারণে বিপদ আরও বাড়তে পারে। নিউমোনিয়া খুব ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে। ব্লাড সুগার বাড়ন্ত থাকায় রোগীর শ্বাসকষ্ট হয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে করোনাকালে।
>> ডায়াবেটিস রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। তার উপরে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে। সেই সঙ্গে হাইপোক্সিয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সবসময় রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরীক্ষা করতে হবে।
>> করোনা আক্রান্তদের শরীরে এখন আবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে রোগী মাথাব্যথা, দুর্বল ও চোখ ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যাদের শরীরে উচ্চ মাত্রায় ব্লাড সুগার আছে এবং যারা উচ্চ মাত্রার স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের জন্য ক্ষেত্রে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি বেশি।