রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ওবেসিটি থেকে শুরু করে হৃদরোগের সমস্যার সঙ্গে সংযোগ রয়েছে বাড়তি তেল খাওয়ার। রান্নায় তেল ব্যবহার কমিয়ে ফেললে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকা যায়। কম তেলে রান্না মানেই যে খাবার সুস্বাদু হবে না এমনটা নয়। বরং পরিমিত তেল ব্যবহার কোলে যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমে, তেমনি অটুট থাকে খাবারের পুষ্টিমানও। জেনে নিন রান্নায় তেল ব্যবহার কমানোর কিছু টিপস।
- ননস্টিকের প্যান ব্যবহার করুন রান্নার জন্য। এগুলোতে অল্প তেল দিয়েই চমৎকার রান্না হয়ে যায়।
- তেলের বোতল থেকে সরাসরি তেল কড়াইতে ঢালবেন না। এতে তেল বেশি পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। চামচ বা মেজারমেন্ট কাপ ব্যবহার করুন তেল পরিমাপের জন্য।
- অল্প তেল ও মসলা ব্যবহার করে বেক করে নিতে পারেন খাবার। সামান্য তেল ও মস মলা মাখিয়ে মাছ, মাংস সহজেই বেক করে নেওয়া যায়, খেতেও হয় চমৎকার।
- রান্নার বেশ কিছুক্ষণ আগে দই ও মসলা দিয়ে মাছ, মাংস ম্যারিনেট করে রাখুন। এতে খাবার যেমন সুস্বাদু হবে, তেমনি কমবে তেলের খরচ।
- বেকের পাশাপাশি ভাপেও রান্না করতে পারেন মাছ, মাংস কিংবা ডিম। ভাজার আগে ভাপিয়ে নিলে যেমন রান্না করতে কম সময় লাগে, তেমনি অতিরিক্ত তেলের ব্যবহারও কমে।
- সবজি, মাছ, মাংস সরাসরি ভাজার বদলে প্রথমে সেদ্ধ করে নিন। আধা সেদ্ধ করে নিয়ে ভাজলে কম তেল প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি কম সময়ের মধ্যে ভাজাও হয়ে যায়।
- তেলে ভাজা খাবার তৈরির ক্ষেত্রে তেল ঠিকমতো গরম হওয়ার পর তারপর দেবেন খাবার। তেল পর্যাপ্ত গরম না হলে খাবার অতিরিক্ত তেল শোষণ করে।
- এয়ার ফ্রাইং হতে পারে চমৎকার বিকল্প। এক্ষেত্রে খাবার রান্না করতে গরম বাতাস ব্যবহার করা হয়। শুধুমাত্র অল্প পরিমাণে তেল ব্যবহার করেই মজার সব রান্না করা যায় এতে। ফ্রাই, চিকেন উইংস এবং সবজির মতো আইটেম অনায়াসে বানিয়ে ফেলতে পারেন এতে।
- হাতে মাখা কৌশল কাজে লাগিয়ে কম তেলে রান্না করতে পারেন। মাছ, মাংস, ডাল বা সবজি আগে থেকেই মসলা মাখিয়ে রেখে দিন। এরপর মসলা সমেত বসিয়ে দিন চুলায়।