চারদিকে চলছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আমেজ। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ইতোমধ্যেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। কেউবা অগ্রিম টিকিট কেটে ফেলেছেন।
এ সময় বাড়িতে যাওয়ার পূর্বে গৃহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। সামান্য অসাবধানতা সব আনন্দ ফিকে করে দিতে পারে। এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে চলুন জেনে নিই—
বন্ধ করুন বৈদ্যুতিক সুইচ
তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ না-ও করতে পারেন। এতে অযথা বিল যেমন আসবে, তেমনি ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই বাসা ত্যাগ করার পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন সব সুইচ বন্ধ করেছেন কিনা। সবচেয়ে ভালো হয় যদি বাসার বৈদ্যুতিক মেইন সুইচ বন্ধ করে রাখেন। এছাড়া, কয়েকদিন যেহেতু থাকা হচ্ছে না তাই এসময় ফ্রিজের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখা উচিত। হঠাৎ বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠানামা করায় ফ্রিজের ক্ষতি হতে পারে। ফ্রিজ খালি করে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখুন।
চুলা বন্ধ করুন
অবশ্যই মনে করে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে বাসা থেকে বের হোন। চুলার পেছনের চাবিও বন্ধ করে রাখুন। বাড়ি থেকে ফিরে চুলা জ্বালানোর আগে অবশ্যই জানালা খুলে নেবেন। নয়তো বদ্ধ ঘরে গ্যাস জমে আগুন ধরতে পারে।
তালা লাগান সঠিকভাবে
ঈদের সময় বেড়ে যায় চুরি বা ডাকাতির ঘটনা। তাই বাড়িতে যাওয়ার সময় বাসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। দরজায় একাধিক ভালো মানের তালা লাগান। ভেতরের প্রতিটি ঘরে আলাদা করে তালা লাগান। এতে ঘর বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
ঘর গুছিয়ে রাখুন
বাড়িতে যাওয়ার আগে ঘর গুছিয়ে রাখুন। ঘরের অগোছালো পরিবেশ জীবাণুর জন্ম দেয়। এ ছাড়া, ঘর গুছিয়ে রাখলে দীর্ঘদিন পর ঘরে ফিরে অস্বস্তিকর পরিবেশে পড়তে হবে না। ঘরের ভেতর, বাহির, বারান্দা সব সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখতে চেষ্টা করুন।
পোশাকের যত্ন নিশ্চিত করুন
ছুটিতে থেকে ফেরার পরই কর্মস্থলে যেতে হতে পারে আপনাকে। পরের ধকল কমাতে তাই আগেই পোশাক ধুয়ে আয়রন করে আলমারিতে রাখুন। ঘরে পরার পোশাকও এলোমেলো করে না রেখে ভাঁজ করে রাখুন নির্দিষ্ট স্থানে। আলমারির তাকে রাখুন ন্যাপথলিন কিংবা পাতলা কাপড়ে মোড়ানো ঝুরঝুরে নিমপাতা। ছত্রাক বা পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে পোশাক।
ঈদের সময় বাড়িতে যাওয়ার আগে ছোটখাটো এই বিষয়গুলো খেয়ালে রাখুন। এতে বিপদের আশঙ্কা কমবে এবং ছুটি কাটাতে পারবেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে।