ওজন কমানোর জন্য ডায়েট চার্ট মেনে চলা, ওয়ার্কআউট থেকে শুরু করে কত কিছুই আমরা করে থাকি। যদিও কিছু খাবার তালিকা থেকে বাদ দিলে আর কিছু নিয়ম মেনে চললে সহজে ওজন কমানো যায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে স্বাদহীন খাবারের প্রতি আস্থা গড়ে তোলা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য এমন একটি খাবারের কথা আজ তুলে ধরা হবে যার স্বাদ ভালো এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। বলছিলাম ইসবগুলের কথা। এই ইসবগুল কীভাবে আপনার ওজন কমায় চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ইসবগুল কী:
ইসবগুল কী আর এতে কী কী উপাদান তা আমাদের প্রথমে জানা দরকার। ইসবগুল হলো একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা প্লান্টাগো ওভাটার গাছের বীজের ভুসি থেকে পাওয়া যায়।
সাধারণ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসবগুল খাওয়া হয়। এছাড়া হার্ট ও অন্ত্রের জন্যও উপকারী ইসবগুল।ইসবগুল বেশিরভাগই ভুসি, দানা, পাউডার বা ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়। বিশ্বের মোটামুটি সব দেশেই ইসবগুলের প্রচলন আছে। সবাই পরিপূরক হিসেব ইসবগুল খেয়ে থাকে।
পানির সাথে সহজে মিশে যায় ইসবগুল এরপর এর ঘনত্ব বাড়তে থাকে। ইসবগুল খেলে খাবারের হজম ভালো হয়, রক্তে সুগার লেভেল ঠিক থাকে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
ইসবগুল যেভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে:
ইসবগুলে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে। ফাইবার পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে এবং পেট পরিষ্কারও রাখে। আর পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর কর। সেই সাথে ইসবগুল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো ইসবগুলে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম। আর ওজন কমানোর জন্য ক্যালোরি কম গ্রহণ করা আবশ্যক। পানির সাথে গুলিয়ে যখন ইসবগুল খাওয়া হয় তখন এর আকার ১০ গুণ বেড়ে যায় এবং অনেক সময় পেট ভরাভাব থাকে।
ইসবগুল হজম প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে এবং সব সময় পেট সবসময় পরিষ্কার রাখে। হজম ঠিকঠাক থাকলে আর নিয়মিত বাথরুম হলে নতুন কোন ফ্যাট শরীরে জমা হতে বাধা সৃষ্টি করে ইসবগুল। সেই সাথে ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে ইসবগুল আর এভাবেই ওজন কমে।
সতর্কতা:
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দিনে এক বা দুইবার ইসবগুল খেতে পারেন। একটি গ্লাসে পানির সাথে অথবা ফলের রসের সাথে ইসবগুল মিশিয়ে খেতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি খাবার খাওয়ার পর ইসবগুল খান। তবে আপনি যদি কোন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগে থাকেন বা গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তারপর ইসবগুল খেতে হবে।