রমজান মাস চলছে। তার ওপর কয়েকদিন থেকে প্রচন্ড বেড়েছে তাপমাত্রা। এই গরমে ইফতারে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত হলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।
তবে শরবত হতে হবে স্বাস্থ্যকর। বাইরে থেকে কেনা কেমিক্যালযুক্ত শরবত খাওয়ার বদলে বাড়িতে তৈরি করে নিন স্বাস্থ্যকর শরবত।
ইফতারিতে খেজুর খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। খেজুরের নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। খেজুরের শরবত খেয়েছেন কখনো? সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খেজুরের শরবত সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে সতেজ করতে সাহায্য করবে। খেজুরের শরবত পানের কিছু উপকারিতা এখানে তুলে ধরা হলো-
* খেজুরের শরবত হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। খেজুরে বিদ্যমান স্যলুবল এবং ইনসুবল, ফাইবার ও নানা ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিডের দরুন হজম শক্তির উন্নতি হয়। এছাড়া খাবারের প্রতি রুচি বাড়াতে খেজুরের শরবতের জুড়ি নেই।
* খেজুরের শরবতে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কোলেস্টেরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়।
* খেজুর হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং রক্ত প্রবাহে গতি সঞ্চার করে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
* খুব দুর্বল লাগছে অথবা দেহে এনার্জির অভাব হচ্ছে? তাহলে ইফতারে পান করুন খেজুরের শরবত। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে এর তুলনা নেই।
* খেজুর বিভিন্ন ক্যানসার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যানসার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই ইফতারে শরবতের তালিকায় খেজুরের শরবত রাখতে পারেন।
জেনে নিন ইফতারের জন্য খেজুরের শরবত তৈরির রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে: খেজুর ২৫টি, কালো মিষ্টি কিশমিশ ১০০ গ্রাম, গোলাপজল ২ টেবিল চামচ, পেস্তাবাদামকুচি ১ টেবিল চামচ, চিনি প্রয়োজনমতো, পানি ৫০০ মিলিলিটার, বরফ প্রয়োজনমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন: খেজুর ভালোভাবে ধুয়ে নিন। বীজ ফেলে দিয়ে দুই-তিন ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কিশমিশও ধুয়ে অল্প পানিতে চার-পাঁচ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর অল্প পানি দিয়ে পেস্ট করে নিন।
ভেজানো পানিসহই খেজুর সেদ্ধ করুন। খেজুর নরম হয়ে এলে তাতে কিশমিশ পেস্ট ও চিনি দিন। মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে নিন। ঠান্ডা করুন। ছেঁকে নেওয়া মিশ্রণের সঙ্গে গোলাপজল আর বরফ মিশিয়ে গ্লাসে ঢেলে দিন। ওপরে পেস্তাবাদামকুচি ছড়িয়ে দিয়ে স্বাস্থ্যকর এই শরবত ইফতারে পরিবেশন করুন।