দেশে হোক বা বিদেশ, সব জায়গায় সহজলভ্য সবজির মধ্যে কুমড়া অন্যতম। এটি থেকে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করা হয়। কুমড়াতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। ফলে স্বাস্থ্যের জন্য তা উপকারী বলাই চলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এর ব্যবহারে শরীরের নানা ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এখন এমন পরিস্থিতিতে এই প্রশ্নটা নিশ্চয়ই অনেকের মনেই থাকতে পারে যে, তারা যদি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাহলে কুমড়া খাওয়া নিরাপদ কি না, আসুন বিশেষজ্ঞদের মতামত জেনে নিই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরাও কুমড়ো খেতে পারেন। কুমড়াতে পিউরিন মেটাবলিজম ত্বরান্বিত হয়, যার কারণে শরীরে দ্রুত ডিটক্স হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউরিক অ্যাসিডে কুমড়া খাওয়া কতটা উপকারী—
রক্তে ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে কুমড়া।
কুমড়া আদপে ইউরিক অ্যাসিডের যম। কুমড়া খেলে তার ফাইবারের জন্য ইউরিক অ্যাসিড জমতে পারে না।
কুমড়ার প্রদাহনাশী উপাদানের কারণে কুমড়ো খেলে যারা গাঁটের ব্যথায় ভোগেন, তাদেরও অনেকাংশে আরাম মেলে।
বাতের ব্যথা হলে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, চর্বিযুক্ত ও চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার উপদেশ দেন চিকিৎসকেরা।
কুমড়ার বীজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা হজমের এনজাইম বাড়ায় এবং প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে।
কিন্তু কুমড়া এই সময় খাওয়াই যায়। তবে সবই খেতে হবে তেল-মশলা ছাড়া। কুমড়োর তরকারি বা স্যুপ এক্ষেত্রে খুবই উপকারী।
তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের ক্ষেত্রে শুধু গাঁটের ব্যথা কমানোর জন্য কুমড়া বেশি বেশি খেলে সমস্যা হতে পারে।
মিষ্টি কুমড়ায় শর্করা থাকায় তা আমাদের রক্তে শর্করা মাত্রা এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিতে পারে। আর তা ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।