ঝিনুকের মধ্যে পাওয়া যায় ঝলমলে ও মূল্যবান মুক্তা। যুগ যুগ ধরে মুক্তার গয়না নারীর সৌন্দর্য ও আভিজাত্য বাড়িয়েছে। তবে বাজারে আসল মুক্তার আদলে তৈরি নকল মুক্তাও রয়েছে বাজারে। নকল মুক্তা হচ্ছে মেশিনে তৈরি পুঁতি। এগুলো সাধারণত কাচ, প্লাস্টিক বা অ্যালাবাস্টার থেকে তৈরি করা হয়। মুক্তার মতো আবরণ দেওয়া এসব পুঁতি দেখতে অবিকল আসল মুক্তার মতো। আসল মুক্তার গয়না কিনতে গিয়ে ঠকে যেতে না চাইলে জেনে নিন কীভাবে চিনবেন কোনটা নকল আর কোনটা আসল মুক্তা।
- মুক্তা স্পর্শ করে তাপমাত্রা অনুভব করুন। আসল মুক্তা ঠান্ডা হয়। ত্বকের তাপমাত্রায় গরম হওয়ার আগে এটি কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনাকে শীতল অনুভূতি দেবে। নকল মুক্তা রুমের তাপমাত্রার হয়। তবে কাচের পুঁতি দিয়ে তৈরি নকল মুক্তা স্পর্শ করলে শীতল মনে হতে পারে। তবে সত্যিকারের মুক্তার চেয়ে ত্বকে গরম হতে বেশি সময় লাগে।
- খুব কাছ থেকে মুক্তাগুলো দেখুন। সম্পূর্ণরূপে নিখুঁত মনে হলে এবং সব দিকে দেখতে একই রকম হলে সম্ভবত তারা নকল। প্রাকৃতিক মুক্তার ফিনিশিং নিখুঁত হয় না।
- মুক্তা আলোর নিচে ধরুন। আসল মুক্তায় ভিন্নভাবে আলো প্রতিফলিত হয়। নকল মুক্তা দেখতে কাচের মতো ঝকঝকে হয়।
- মুক্তার রঙ পরীক্ষা করে দেখুন। আসল মুক্তার রঙের উপরে গোলাপী ও সবুজের মিশেল দেখতে পাবেন। এক ও অভিন্ন রঙের মুক্তা নকল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে এই পদ্ধতি সবসময় কার্যকর নয়। কারণ আসল মুক্তার রঙও স্বচ্ছ হতে পারে।
- আকৃতি যাচাই করে দেখুন। বেশিরভাগ আসল মুক্তা খুব কমই গোলাকার হয়। এগুলো ডিম্বাকৃতি, বৃত্তাকারের মতো বা বৃত্তাকার, ড্রপ আকৃতি বা অনিয়মিত আকারের হতে পারে। সাধারণত বৃত্তাকার মুক্তার দাম অন্যান্য আকারের মুক্তার তুলনায় বেশি হয়। নকল মুক্তা একই রকম গোলাকার হয় সবগুলোই।
- পৃষ্ঠের অনুভূতি পরীক্ষা করতে মুক্তা ঘষুন দাঁতের সঙ্গে। সামনের দাঁতগুলোতে হালকাভাবে মুক্তাগুলো ঘষবেন। নকল মুক্তা সাধারণত মসৃণ বা গ্লাসযুক্ত মনে হয়।
- আসল মুক্তা নকলের চেয়ে ভারী হয়। তাই হাতের সাহায্যে ওজনের পার্থক্য বুঝে নিন।
- আসল মুক্তাতে থাকে ড্রিলের ছিদ্রগুলো সাধারণত খুব ছোট হয়। নকল মুক্তার ছিদ্রগুলো বড় হয়। নকল মুক্তার ছিদ্রের চারপাশের আবরণ সাধারণত পাতলা হয় এবং দেখতে চকচকে হয়। গর্তের চারপাশের আবরণগুলো উঠে যাচ্ছে এমন মনে হতে পারে নকল মুক্তার ক্ষেত্রে।