অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মৌসুমী ফল আম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য অধিদপ্তর (USDA) এর তথ্য অনুযায়ী এক কাপ (১৬৫ গ্রাম) আমের মধ্যে রয়েছে ক্যালরি – ৯৯ কিলো ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ২৪.৭ গ্রাম, সুগার – ২২.৫ গ্রাম, ডায়েটারি ফাইবার বা আঁশ ২.৬ গ্রাম
প্রোটিন – ১.৪ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬ গ্রাম। তাছাড়াও আমের মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেলস।তবে আপনি যদি এর স্বাদে মজে গিয়ে অতিরিক্ত আম খেয়ে ফেলেন তবেই ঘটে যেতে পারে বিপত্তি। আবার আম খাওয়ার পর এমন কিছু খাবার আছে- যা খেলে স্বাস্থ্যের ওপর বাজে প্রভাব পড়তে পারে। আসুন জেনেনি, কোন খাবারগুলো আম খাওয়ার পরে ভুলেও খাওয়া যাবে না :
পানি : আম খাওয়ার পর পানি পান করলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি পেটে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি পান না করে কমপক্ষে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর পানি পান করতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমের হাইড্রেটিং ক্ষমতা ভালো হওয়ায়, এটি তৃষ্ণা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তাই আম বা যে কোনও ফল খাওয়ার পর তৃষ্ণা পেলে অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান করবেন। উল্লেখ্য, অধিকাংশ ডায়েটিশিয়ানরা ফল এবং পানি খাওয়ার মধ্যে ৪০-৫০ মিনিট ব্যবধানের পরামর্শ দেন।
দই : আমের সঙ্গে ভুলেও দই খাবেন না। কারণ দই ও আম একসঙ্গে খেলে শরীরে এর বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। শুধু তাই নয় পাকস্থলীতে বিষক্রিয়ার ফলে ডায়রিয়ার ঝুঁকিও থেকে যায়।
করলা : পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ করলা। তবে আম খাওয়ার পর কখনই করলা খাবেন না। তা না-হলে বমি পেতে পারে। অনেকের বমির পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার : আম খাওয়ার পরে কখনও ঝাল বা মশলাদার খাবার খাবেন না। এর ফলেও বদহজমের সম্ভাবনা থেকে যায়। এমনকি অ্যালার্জিও হতে পারে।
সফট ড্রিঙ্কস : এয়ারেটেড বা সফট ড্রিঙ্কস স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো নয়। আম খাওয়ার পর এগুলো পান করলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, আম সফট ড্রিঙ্কসে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। আবার মধুমেহর রোগী হলে, তাঁদের সমস্যা বাড়বেই।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।