আমাদের দেশে নানা রকম মৌসুমী ফলের দেখা মেলে। এর মধ্যে দেশি ফল আমড়া মুখরোচক ও সুস্বাধু।টকমিষ্টি স্বাদের এ ফলটি কাঁচা ছাড়াও আচার, চাটনি, জ্যাম ও রান্নাসহ বিভিন্ন উপায়ে এটি খাওয়া যায়।আমড়ার নানা উপকারী দিক রয়েছে। এটি মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতে অনেক কার্যকরী। একটি আপেলের চেয়েও বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে একটি আমড়াতে। এ কারণে একে গোল্ডেন আপেলও বলা হয়ে থাকে। জেনে অবাক হবেন এ ফলটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ডায়রিয়া, জ্বলাপোড়া, জ্বর, হজমের সমস্যায় ও কফসহ নানা রকম সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে আমড়া।
এবার জেনে নিন আমড়া খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সর্ম্পকে:
১. ডায়াটারি ফাইবার সমৃদ্ধ আমড়া খেলে হজমজনিত দূর হয়। এতে ভালো থাকে পাচনতন্ত্র।
২. আয়রন শরীরের জন্য অপরিহার্য একটি অত্যাবশ্যক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ও রক্তাল্পতা এবং অন্যান্য রক্তের সমস্যা প্রতিরোধ করে।এ ছাড়া হিমোগ্লোবিন এবং মায়োগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে আয়রন, যা শরীরের সমস্ত সিস্টেমে অক্সিজেন স্থানান্তর করে। আমড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।
৩. প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে আমড়ায়। হাড় ও দাঁতের রক্ষণাবেক্ষণসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন উন্নত করতেও সাহায্য করে। এটি ত্বকে পাওয়া একটি প্রোটিন যা ত্বককে সুস্থ, দৃঢ় এবং বলিরেখা থেকে মুক্ত করে।
৪. আমড়ায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
৫. আমড়ায় পাওয়া যায় থায়ামিন। থায়ামিন হলো গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলোর মধ্যে একটি। এটি শরীরে অনেকগুলো কার্য সম্পাদন করে। এর মধ্যে একটি হলো পেশী সংকোচন এবং স্নায়ু সংকেত সঞ্চালনে সহায়তা করার ক্ষমতা।
৬. আমড়া বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে আমড়ায় থাকা উপকারী সব উপাদান।
৭. আমড়াকে বলা হয় রুচিবর্ধক ফল। এটি খেলে অরুচি দূর হয়।
৮. স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে আমড়া। এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে।
৯. ব্রণের প্রকোপ কমিয়ে ত্বকের জৌলুস বাড়ায় আমড়া। এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
১০. আমড়ায় থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান আমাদের স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে।