আমাদের আশপাশে অনেক টক্সিক মানুষ রয়েছে। তারা নিজেরা স্বীকার না করলেও, তাদের আচরণ ও কথায় তা প্রকাশ পায়। জীবনসঙ্গী, বন্ধু কিংবা সহকর্মী টক্সিক তথা বিষাক্ত হলে এর প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে পড়ে। তাদের পছন্দ–অপছন্দ–রুচি সবকিছুরই একটা অলিখিত প্রভাব পড়ে। এই মানুষগুলো আপনাকে পিছিয়ে দেয়। কিন্তু আপনি মানুষ হিসেবে কেমন ভেবেছেন কি? আপনার মধ্যে কি এমন আচরণ রয়েছে সেগুলো আসলে টক্সিক ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য?
আপনি টক্সিক কিনা যেভাবে বুঝবেন
- আপনি কি সঙ্গীকে সবসময় সন্দেহ করেন? তার প্রতিটি কথা, কাজকে নেতিবাচকভাবে দেখেন? তাহলে বুঝে নিন আপনি একজন টক্সিক মানুষ।
- আপনি যদি সবসময় নিজে বেশি প্রায়োরিটি পেতে চান এবং অন্যদেরকে যথাযথ সম্মান দিতে না চান, তাহলে আপনি একজন বিষাক্ত মানুষ।
- আপনার সাথে কথা বলে কেউ যদি হালকা অনুভূত না করে, সে যদি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে তাহলে বুঝুন আপনি মানুষ হিসেবে খুব একটা সুবিধার নন। কেননা আপনি ক্রমাগত তাকে হতাশা, না পাওয়ার বার্তা প্রকাশ করছেন। এতে তার মধ্যে ‘নেতিবাচক এনার্জি’ প্রবেশ করে।
- টক্সিক মানুষেরা সাধারণত কোনো কিছুর দায়িত্ব নিতে চান না। তারা দায়ভার অন্যের কাঁধে চাপান। আবার কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করেন। আপনার মধ্যে যদি এ ধরনের মানসিকতা থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই নেতিবাচক ও টক্সিক প্রকৃতির মানুষ।
- আপনার প্রিয় কাজ যদি সমালোচনা, কথা লাগানো, চরিত্রের বিশ্লেষণ, নেতিবাচক চর্চা ইত্যাদি হয়, তাহলে আপনি সুবিধার নন।
- টক্সিক মানুষেরা কথা ও কাজ দিয়ে অন্যদের ছোট করেন। কখনো কখনো বেশ পরশ্রীকাতরতায় ভোগেন। এ ধরনের বৈশিষ্ট্য আপনার মধ্যে থাকলে, আপনি একজন বিষাক্ত মানুষ।
- আপনি যদি অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল না হন, অন্যদের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা না থাকে তাহলেও বুঝে নেবেন আপনি একজন টক্সিক মানুষ। এ ধরনের মানুষের সান্নিধ্য মানুষ পছন্দ করে না। বরং এ ধরনের মানুষকে এড়িয়ে চলে সবাই।