বর্ষার আবহ এখনও কমেনি, এদিকে ভ্যাপসা গরম। তাই পিঁপড়ের হাত থেকে নিস্তার মিলছে না। পিঁপড়ার উৎপাতে নাজেহাল আপনি?
আলমারি হোক কিংবা রান্নাঘরের কোণা, বারান্দায় এমনকি বইয়ের তাকেও সারাক্ষণ পিঁপড়ার দেখা মিলছে? তাহলে কি অন্দরসজ্জায় বদল ঘটানোর প্রয়োজন রয়েছে?
কিছু কিছু পিঁপড়া (ফায়ার ও হারভেস্টার) রয়েছে, যা মানুষকে কামড়ায়। কাঠ পিঁপড়া ক্ষতি করে বাড়ি-ঘরেরও। এদিকে, খাবারে সংক্রমণের অন্যতম কারিগর পিঁপড়া। দেওয়াল, মেঝের ফাটল, কিংবা শ্বেত পাথরের মার্বেল বসানো শৌচাগার, এরা সর্বত্রই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের ঠেকাতে কী উপায় নেওয়া যেতে পারে?
এই প্রসঙ্গে অন্দরসজ্জাবিদদের মতামত হল, নতুন ঘর তৈরির সময় দেওয়ালে কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করা হয়, এতে উপদ্রব কমে। এছাড়াও আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে উই ধরা রুখতে যে ধরনের স্প্রে ব্যবহার করা হয় তাতে কিংবা বাড়িতে পেস্ট কন্ট্রোল করা হলে এমনিতেই পিঁপড়ার ঝামেলা খানিকটা হলেও কমে।
ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে, যার ফলে এর থেকে নিষ্কৃতি মিলতে পারে। ক্যাবিনেটের ভিতর বা বারান্দায় কিংবা রান্নাঘরে তেজপাতার গুঁড়া দিয়ে রাখলে পিঁপড়ার উপদ্রব কমতে পারে। এছাড়া ঘর কিংবা বারান্দা প্রতিদিন কড়া গন্ধের ফিনাইল দিয়ে মুছতে হবে, তাহলেও পিঁপড়া কম হবে।
কী কী মনে রাখতে হবে
রান্নাঘরের ক্যাবিনেট বা তাক মাসে এক বার পরিষ্কার করতে হবে
জামা-কাপড়ের আলমারি দু’মাস অন্তর একদিন পরিষ্কার করতে হবে
পিঁপড়া দূর করতে তেজপাতার গুঁড়ার বদলে কফির গুঁড়াও ব্যবহার করা যায়। সরাসরি দিয়ে রাখা যেতে পারে নানা জায়গায়।
এছাড়াও…
সাদা ভিনেগার: সাদা ভিনেগারের গন্ধ মোটেও সহ্য করতে পারে না পিঁপড়া। সমপরিমাণ পানি এবং সাদা ভিনেগার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটি দিয়ে রাখতে হবে পিঁপড়া ঢোকার প্রবেশপথগুলোতে।
দারচিনি-লবঙ্গ-তেজপাতা: প্রাকৃতিক বিকর্ষকের কাজ করে এগুলো। পিঁপড়া মোটেও এগুলোর গন্ধ পছন্দ করে না। এগুলো সামান্য ভেজে তারপর গুঁড়া করে অল্প পরিমাণে ছড়িয়ে রাখলে পিঁপড়া পালাতে বাধ্য।
পুদিনা পাতা: একটা কড়া গন্ধ আছে এই পাতার। সামান্য থেঁতলে করে এই পাতা রান্নাঘর ও মেঝের কোণায় কোণায় দিয়ে রাখা যেতে পারে। পুদিনা তেল পানির সঙ্গে মিশিয়ে ঘরে স্প্রে করলেও পিঁপড়ার হাত থেকে রেহাই মিলবে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন