আক্কেল দাঁতের সঙ্গে মানুষের বুদ্ধিসুদ্ধি বা আক্কেলের কোনো সম্পর্ক নেই। সতের থেকে একুশ বছর বয়সে চোয়ালের ওপরের ও নিচের দু’পাশের শেষাংশে দুটি করে মোট চারটি দাঁত ওঠে।
আসুন দেখে নেই কীভাবে চটজলদি আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়-
লবণ-পানির মাউথওয়াশ
দাদি-নানির ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো বিজ্ঞানের গবেষণাতেও মানা হয়। লবণ-পানি মাড়ির ঘা সারিয়ে তোলে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ লবণ গুলিয়ে দিনে কয়েকবার কুলকুচি করুন। এই সহজ পদ্ধতিটি তাৎক্ষণিকভাবে দাঁতের ব্যথা ও শিরশিরে অনুভূতি দূর করতে দারুণভাবে কার্যকরী।
লবঙ্গ ও পিপারমিন্টের তেল
দাঁতের ব্যথায় লবঙ্গের ব্যবহার আদিকাল থেকে সুপরিচিত। এতে রয়েছে ইউজেনল নামক প্রদাহবিরোধী ও বেদনানাশক উপাদান। পিপারমিন্টেও রয়েছে ব্যথানাশক উপাদান যা দাঁতের সমস্যায় দ্রুত কাজ করে। লবঙ্গ বা পিপারমিন্টের কয়েক ফোঁটা তেল তুলায় নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রাখুন।
হলুদের মাউথওয়াশ
ব্যথানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ায় আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসায় হলুদের ব্যবহার সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত। দাঁতের ব্যথা কমাতেও এর জুড়ি নেই। এক কাপ গরম পানিতে হাফ চা চামচ হলুদের গুঁড়া, দুটি লবঙ্গ ও দুটি শুকনো পেয়ারা পাতা নিন। কুলকুচি করুন। মাড়ির ক্ষত ও দাঁতের ব্যথা সেরে যাবে।
আদা ও লাল মরিচ
আদা ও মরিচের পেস্ট তুলার সাহায্যে আক্রান্ত দাঁতে লাগান। তাপ উৎপাদনকারী এই মসলার পেস্ট দাঁতের কঠিনতর ব্যথা প্রতিহত করবে। মাড়িতে এটি ব্যবহার করবেন না। জ্বলতে পারে। খুব গরম অনুভব হলে পানি দিয়ে কুলকুচি করুন।
শসা, আলু, বাঁধাকপি
ভেষজ উপাদানগুলো হাতের কাছে পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে সবজির ঝুড়ি হতে পারে সমাধান। ফ্রিজে রাখা শসা, আলু বা বাঁধাকপি যেকোনো একটি মুখে ঢুকতে পারে এমন সাইজের টুকরো করে কাটুন। টুকরাটি আক্রান্ত দাঁতের ওপর রাখুন। ঠাণ্ডা ক্ষত প্রশমিত করবে ও ব্যথা কমাবে।