প্রকৃতিতে বইছে হীম হাওয়া। রাজধানী ঢাকায় শীতের কাঁপুনি অতোটা না লাগলেও গ্রামাঞ্চলে শীত পড়ে গেছে। তাই দেরাজে তুলে রাখা শীত-সামগ্রীগুলোও বের করতে হচ্ছে। তবে সাজিয়ে রাখা শীতের পোশাক বের করেই সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, এতো দিন বাক্সবন্দী থাকা পোশাকে ধুলাবালু যেমন জমেছে, তেমন নানা রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে পারে। তাই ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়াই উত্তম। এতে পোশাকের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমন ভালো থাকবে আপনার শরীরও।
শীতের সোয়েটার পরিষ্কারে আপনি ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। ডিটারজেন্টের সাথে দুই চা-চামচ ভিনেগার মিশিয়ে সোয়েটার পরিষ্কার করতে পারেন। আবার শ্যাম্পু দিয়েও সোয়েটার পরিষ্কার করা যায়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে শীতের পোশাকের উলগুলো থাকবে নরম।তবে শুকানোর পর শীতের পোশাকে সরাসরি সুগন্ধি ব্যবহার না করাই ভালো।
শিমুল তুলার লেপের বেলায় একদমই ধোয়া যাবে না। ড্রাই ওয়াশও করা যাবে না। তবে রোদে দিয়ে লেপটি ঝরঝরা করে নিন। লেপের স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর হয়ে গেলে একটু ঝেড়েও নিতে পারেন।
কম্বল ধোয়া যাবে। করা যাবে ড্রাই ওয়াশও। তবে কম্বল না ধুয়ে ব্যবহার করলে ধুলাজনিত নানা সমস্য হতে পারে। কোমল ডিটারজেন্ট দিয়ে ১০ মিনিট কম্বল ভিজিয়ে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। ওয়াশ উপযোগী কম্বল গুঁড়া সাবানেও ধোয়া যায়। তবে কম্বল বেশি সময় কড়কড়া রোদে রাখা যাবে না। পানি ঝরিয়ে ছায়া ও বাতাস রয়েছে এমন জায়গায় শুকাতে দিতে হবে।
ডাস্ট অ্যালার্জির মতো ঝামেলা ও অসুখ-বিসুখ এড়াতে শীতের পোশাক ব্যবহারের আগে সাধ্যমতো পরিষ্কার করে নেওয়াই নিরাপদ।