নাসিম রুমি: শীত প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের জীবনেও পরিবর্তন আনে। বাহারি পোশাক নানা ধরনের খাবার আরও কত কি। উৎসবের মতো করে বরণ করে নেন শীতকে। তাই শীতে বরণ করতে নিতে হয় নানান প্রস্তুতি।
তাই শীত আসার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন। চলুন যেনে নেওয়া যাক সেসব ধাপসমূহ-
১. পোশাক: শীতে মানুষ বাহারি ধরনের পোশাক পরতে পছন্দ করে। শীতের তীব্রতা কমাতে গরম পোশাক যেমন সোয়েটার, জ্যাকেট, স্কার্ফ, মোজা ও উষ্ণ টুপি কত কিছুই না ব্যবহার করে। তাই শীতের পোশাকগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন আগে ভাগেই। কারণ সারা বছর ব্যবহার না করার কারণে তাতে নানা ধরনের জীবাণু জন্ম নিতে পারে। এ ছাড়া বাসার গরম কম্বল, ব্ল্যাঙ্কেট এবং বিছানার চাদরও পরিষ্কার করে নিন।
২. ঘর পরিষ্কার: শীতের সময় ধুলাবালির পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। এই ধুলাবালির কারণে বাড়িঘর অপরিষ্কার হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ধুলোবালির মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে দেখা দিতে পারে নানা ধরণের অসুখও। তাই এসময় বাড়িঘর পরিষ্কার রাখাও সমান জরুরি। জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা লাগাতে পারেন তাতে ঘরে ধুলাবালি কম প্রবেশ করবে। বাড়ির মেঝে, আসবাব, কার্পেট সব নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
৩. ত্বকের যত্ন: শীতের সময় আলাদাভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। কারন শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তবে শীত আসার আগেই শীতের প্রভাব পড়তে থাকে আমাদের ত্বকে। তাই ত্বক ভালো রাখতে শীতের আগে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখা দরকার। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, স্নো, পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, লিপজেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল ইত্যাদি কিনে হাতের কাছে রাখুন।
৪. শীতকালীন খাদ্যাভ্যাস: শীতে শীতকালীন সবজি বেশি পরিমানে খাওয়া দরকার। এতে নানাবিদ পুষ্টি থাকে তাছাড়া গরম খাবার, যেমন স্যুপ, স্টু, চা, এবং পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আদা চা এবং মধু-লেবুর পানীয়ও উপকারী হতে পারে।
৫. স্বাস্থ্য সচেতনতা: শীতের সময় সর্দি-কাশি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে ফ্লু ভ্যাকসিন নিয়ে রাখুন। বাইরে থেকে ফিরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।