English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

শীত আসছে, যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি

- Advertisements -

নাসিম রুমি: শীত গুটি গুটি পায়ে এসে দরোজায় কড়া নাড়ছে। দিনে গরম থাকলেও রাতের দিকে শীত তার আগমনী বার্তা দিচ্ছে। এই সময় ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ধরনের অসুখ বাধার ভয় থাকে। এই সময় আবহাওয়া আগের চেয়ে অনেকটা বদলে যায়। তার প্রভার পরে শরীরের ওপর। এই সময়ে ঠোঁট ফাটা, হাত-পায়ে চামড়া উঠা ও এলার্জি জাতীয় নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময়ে সাবধানতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

শীত আসার আগেই শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে হয়। এসময় শীতের পোশাক, কাঁথা-কম্বল থেকে শুরু করে ত্বকের পরিচর্যার উপাদান ও আরও অনেক কিছুর দরকার পড়ে। এক নজরে দেখে নিন শীতের আগে কোন প্রস্তুতিগুলো নিয়ে রাখবেন:

প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখুন
শীত আসার আগেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করে আমাদের ত্বকে। চামড়ার ওপরিভাগ ফেটে যায়, ফাটে ঠোঁটও। এসময় ত্বকে রুক্ষভাব দেখা দেয়। তাই ত্বক ভালো রাখতে শীতের আগে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী কিনে রাখা দরকার। ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম, স্নো, পেট্রোলিয়াম জেলি, অলিভ অয়েল, বডি লোশন, লিপজেল, গ্লিসারিন, গোলাপজল ইত্যাদি কিনে হাতের কাছে রাখুন।

ঘর পরিষ্কার
শীতের সময় ধুলোবালির পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। এসময় শুষ্ক আবহাওয়া এর বড় কারণ। এই ধুলোবালির কারণে বাড়িঘর অপরিষ্কার হতে সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, ধুলোবালির মাধ্যমে জীবাণু ছড়িয়ে দেখা দিতে পারে নানা ধরণের অসুখও। তাই এসময় বাড়িঘর পরিষ্কার রাখাও সমান জরুরি। ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। জানালা ও দরজায় ভারী পর্দা লাগাতে পারেন তাতে ঘরে ধুলোবালি কম প্রবেশ করবে। বাড়ির মেঝে, আসবাব, কার্পেট সব নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

শীতের পোশাক
শীতের প্রস্তুতির একটি বড় অংশ হলো শীতের পোশাক পরিষ্কার করা। কারণ সারা বছর ব্যবহার না করার কারণে তাতে নানা ধরনের জীবাণু জন্ম নিতে পারে। তাই শীত শেষে গুছিয়ে রাখার সময় ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখলেও শীতের শুরুতে আরেকবার ধুয়ে নিন। যেহেতু শীতের শুরু কদিন পরেই তাই এখনই তুলে রাখা শীতের পোশাক ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখুন। প্রয়োজন হলে শীতের পোশাক যেমন সোয়েটার, কার্ডিগান, জ্যাকেট, স্যুট, প্যান্ট, মাফলার, মোজা, কানটুপি ইত্যাদি কিনে রাখুন।

অসুখ থাকুক দূরে
শীত এলে তার হাত ধরে আসে নানা অসুখ। এসময় ঠান্ডাজনিত জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, সর্দি-কাশি দেখা দিতে পারে। এসব অসুখ থেকে দূরে থাকার জন্য নিতে হবে প্রস্তুতি। এসময় তরল ও গরম জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। প্রতিদিন চা, হালকা গরম পানি, আদা, লেবু, মধু ইত্যাদি রাখবেন খাবারের তালিকায়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও এক কোয়া রসুন মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন। এসময় ঠান্ডা পানিতে গোসল করলেও ঠান্ডাজনিত নানা অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই গোসলের পানি হালকা গরম থাকাই ভালো।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন