সৌন্দর্যচর্চায় ঘরোয়া উপাদানের কদর বরাবরই। র্যাশ, ব্রণ, চুলকানির মতো অনেক ধরনের সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে। ত্বকের নানা ধরনের সমস্যায় সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে অনেকেই অ্যালোভেরা, বেসন, টক দই, হলুদ, মধুর মতো উপাদান বেছে নেন। অ্যালোভেরা ও মধু দুটিই ত্বকের জন্য উপকারী। রূপচর্চায় এ দুটির মধ্যে কোন একটি বেছে নিতে বলা হলে কোনটি বেশি উপকারী হবে তা জেনে নিন।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, ব্রণের চিকিৎসায় দুর্দান্ত কাজ করে মধু। অ্যালোভেরাও ব্রণ নির্মূল করে, ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। দুটিই প্রাকৃতিক উপাদান ও সহজলভ্য। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়। ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে মধু। অন্যদিকে অ্যালোভেরা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। মধু ও অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ব্রণের সমস্যা দূর করে। ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে দুটি উপাদানই দুর্দান্ত কাজ করে। মধু ও অ্যালোভেরার মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নেওয়া কঠিন। তবে, ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী আপনি ব্যবহার করতে পারেন মধু ও অ্যালোভেরাকে।
শুষ্ক ত্বকের উপর এক চামচ মধু নিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিংবা টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে মাখুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অন্যদিকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে রোজ দু’বেলা মুখে অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বক: যাদের ত্বক তৈলাক্ত ও ব্রণ-প্রবণ তারা রাতে ত্বকে মধু লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে ব্রণের সমস্যা দূর হবে। এর পাশাপাশি ত্বকের ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয়ে যাবে। তৈলাক্ত ত্বকের উপর নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন। এতে ব্রণ ও ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবকে প্রতিরোধ করতে পারবেন।
সংবেদনশীল ত্বক: সংবেদনশীল ত্বক পরিষ্কার করতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের উপর কোনও ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই মুখ থেকে ময়লা, জীবাণু পরিষ্কার করে দেবে। রোদে পোড়া ভাব, চুলকানি, র্যাশের সমস্যা এড়াতে সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
সমন্বয় : এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু ও অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক যে কোনও ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায়।