শীত আসতেই বাড়ছে সর্দি-কাশির সমস্যা। আবার এ সময় শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বাইরে ধুলাবালির পরিমাণও বেড়েছে। যাদের ধুলাবালিতে অ্যালার্জি আছে, তারা বাইরে বের হলেই হাঁচি-কাশিতে ভুগছেন।
যদিও শীত এলে সর্দি ও অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। আর এ কারণে হাঁচি হওয়া স্বাভাবিক। তবে একনাগাড়ে হাঁচি হওয়া আবার কষ্টদায়ক।
আসলে অবাঞ্ছিত কোনো বস্তু যেমন- পরাগ, ধূলাবালি, ধোঁয়া, গুঁড়া, তীব্র সুগন্ধযুক্ত খাবার ইত্যাদি হাঁচির কারণ হতে পারে। অনেকেরই নাক চুলকানোর সঙ্গে সঙ্গে একটানা হাঁচি শুরু হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রতিক্রিয়া। নাকের শ্লেষ্মা ঝিল্লি বিরক্ত হলে এটি ঘটে। সাধারণত অ্যালার্জি বা সাধারণ সর্দি-কাশির মতো অসুস্থতার কারণে বারবার হাঁচি হতে পারে।
হাঁচি কখনো আটকে রাখা উচিত নয়। এতে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। তবে চাইলে হাঁচি বন্ধ করা যায়, কয়েকটি উপায় মেনে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে হাঁচি বন্ধ করবেন-
১. অতিরিক্ত আলোয় হাঁচির সমস্যা বেড়ে যায়। একে ফোটিক স্নিজিং বলে। এই সমস্যা সাধারণত বংশগত হয়। তাই হাঁচি হলে আলোর দিকে তাকাবেন না।
২. হাঁচি থামাতে দারুন কাজ করে মধু। একনাগাড়ে হাঁচি হলে সামান্য মধু খেয়ে নিন। দেখবেন থেমে যাবে হাঁচি।
৩. ঠিক কী কারণে আপনার হাঁচি হচ্ছে তা খুঁজে বের করুন ও তা এড়িয়ে চলুন। যাদের গন্ধে, ধুলায় বা পরাগে অ্যালার্জি তারা এসব থেকে দূরে থাকুন।
৪. প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ সিজনাল অ্যালার্জিতে ভোগেন। যারা মৌসুমী অ্যালার্জিতে ভোগেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ গ্রহণ করুন। অ্যান্টিহিস্টামাইন জাতীয় অ্যালার্জির ওষুধ হাঁচি থামাতে পারে।
৫. একনাগাড়ে হাঁচি হলে ন্যাসাল স্প্রে বা স্যালাইন অনুনাসিক স্প্রে দু’ফোটা নিতে পারেন নাকে। একে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে ও দ্রুত হাঁচি বন্ধ করতে সাহায্য করবে।
৬. এ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি (মরিচ ও সাইট্রাস পাওয়া যায়) ও জিংক (সামুদ্রিক খাবার ও মাংসে পাওয়া যায়) নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন।
এই ভিটামিন ও খনিজ উপাদান স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যা বিভিন্ন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে এমনকি হাঁচির লক্ষণও প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৭. ক্যামোমাইল চা ঘুমের জন্য দুর্দান্ত, তবে এতে অ্যান্টিহিস্টামিন বৈশিষ্ট্য থাকে। যা হাঁচি রুখতে সাহায্য করতে পারে।
৮. মসলাদার ও গরম খাবার হাঁচির সৃষ্টি করতে পারে। এসব পরিমাণে অল্প খেলেও গস্টেটরি রাইনাইটিস নামক অবস্থার কারণে একনাগারে হাঁচি হতে পারে। তাই তীব্র গন্ধে অ্যালার্জি থাকলে এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
৯. নাকে সুড়সুড়ি লাগেলে বা হাঁচির প্রবণতা লক্ষ্য করলে একটি টিস্যু বা রুমালে নাকের সামনে ধরে জোরে বাতাস বের করে দিন। এতে হাঁচির সমস্যা কমে যাবে।
১০. বারবার হাঁচি হলে নাকে সামান্য চিমটি কাটুন। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, নাকে হালকাভাবে চিমটি কাটার মাধ্যমেও আপনি দ্রুত হাঁচি বন্ধ করতে পারেন।