ফ্যাশন তো হয় বটেই, রোদ থেকে চোখ বাঁচায় রোদ চশমা। সৌন্দর্য আর স্মার্টনেসকেও বাড়িয়ে তোলে বহুলাংশে। এক সময় প্রচলিত ছিল, ‘সানগ্লাস কেবল গরমের দিনের অনুষঙ্গ’। সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছে মানুষ। এখন শুধু গ্রীষ্মকালেই নয়, শীত এবং মেঘলা দিনেও ফ্যাশনিয়েস্তারা ব্যবহার করছেন রোদ চশমা, যা সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে চোখের সুরক্ষা দেয়। রক্ষা করে বাইরের ধুলোবালি থেকেও। ধুলোবালি আর খোলা বাতাসে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের শিকার হয় আমাদের চোখ। এসব থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে রোদ চশমা।
অনেকের অজানা যে, রোদ চশমা ব্যবহারেরও নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। কেনার আগে এমন সানগ্লাস কিনুন যা অন্তত ৯৯% থেকে ১০০% সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচাতে সক্ষম। উইভি ৪০০-এর লেবেলযুক্ত রোদ চশমা মানব চোখকে সুরক্ষিত রাখে। সুতরাং কেনার আগে এসব দেখেশুনে কেনা উচিত। এ ছাড়া পোলারাইজড লেন্সযুক্ত রোদ চশমা সূর্যের কড়া আলো থেকে শুধু বাঁচায় না, চারপাশকে অনেক বেশি পরিষ্কার দেখায়। তবে কেনার আগে নিজের প্রয়োজনীয়তা বুঝে কেনা উচিত।
পোলারাইজড লেন্স ওয়াটার, বরফ ও কাচ থেকে প্রতিফলিত আলোকরশ্মি কমাতে সাহায্য করে। সাধারণত চার ধরনের মুখের গড়ন বেশি দেখা যায়। তন্মধ্যে গোলাকার, ডিম্বাকৃতি, চারকোনা ও পানপাতার মতো বা হৃদয়াকৃতি মুখের গড়ন। মুখের গড়ন বুঝে বেছে নিন। বড় ফ্রেমের রোদ চশমা নিঃসন্দেহে আজকালকার ফ্যাশন। তবে মুখের গড়ন বুঝে রোদ চশমা বেছে নেওয়া উচিত।
রোদ চশমা ফ্যাশনে এখন গাঢ় রং খুব ট্রেন্ডি। নীল, সবুজ, বেগুনি, সাদা, লাল এবং কমলার মতো রঙের প্রাধান্য দেখা যায়। চাইলে কয়েকটা শেডের সানগ্লাসও পাবেন। ক্লাব মাস্টার ফ্রেম, ফরমাল বা ঘরোয়া দুই ধরনের অনুষ্ঠানেই মানিয়ে যায়। আর এভিয়েটর ফ্রেম ফরমাল পোশাকে বেশি মানানসই। ট্রেন্ড অনুযায়ী এখন ফ্যাশনে ইন ওভারসাইজড সানগ্লাস, রেট্রো স্টাইল আর সেমি রিমলেস সানগ্লাস। তাছাড়া, উজ্জ্বল রঙের শেডের সানগ্লাসেও স্মার্ট দেখাবে।