শীতকালের সবজি বাজার মানে ফুলকপি নজরে পড়বেই। আর ফুলকপি ব্যাগে না ভরে বাড়ি ফেরেন এমন গৃহস্থের সংখ্যা শূন্য বললেই চলে। তবে রান্না করার সময় অনেকেই ফুলকপির পাতা ফেলে দেন। রান্না করেন শুধুমাত্র ফুলকপি। আপনি জানেন কী, ফুলকপির চেয়ে অনেক বেশি খাদ্যগুণে ভরা তার পাতা। ফুলকপির পাতা খাওয়ার ঠিক কী ধরনের পুষ্টি পাবেন চলুন তা জেনে নেয়া যাক।
শিশুর ওজন, উচ্চতা এবং হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রোটিন এবং মিনারেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফুলকপির পাতায় রয়েছে প্রোটিন ও মিনারেল। তাই আপনার বাড়ন্ত বাচ্চার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ফুলকপির পাশাপাশি ফুলকপির পাতাও রেখে দিন।
বর্তমান সময়ে কাজের চাপ অনেক বেশি। তাই সময়মতো খাওয়াদাওয়া হয় না। স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে বেশিরভাগ চাকরিজীবীর। তার ফলে নানারকমের সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধছে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে কড়া ডায়েট মেনে চলছেন কেউ কেউ। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের জন্য ফুলকপির পাতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্যুপ, স্যালাড, স্টু এবং স্ন্যাকসের সঙ্গে ফুলকপির পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
যারা চোখের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ভিটামিন এ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফুলকপির পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। তাই চোখের সমস্যায় ভুগলে তাদের ডায়েটে অবশ্যই ফুলকপির পাতা থাকা প্রয়োজন।
গতিময় জীবনের নয়া সঙ্গী অবসাদ। বেশিরভাগ মানুষই আজকাল এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন। এমন সমস্যা থাকলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফুলকপির পাতা খেতে পারেন।
মহিলারা ৩০ পেরলেই ক্যালশিয়ামের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। তার ফলে শরীরে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এমন আশঙ্কা দূর করতে চাইলে খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন ফুলকপির পাতা। কারণ, ফুলকপির পাতায় রয়েছে ক্যালশিয়ামও।