প্রোটিনে ভরপুর স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে পিনাট বাটার। চিনাবাদাম ভেজে ঘন পেস্ট করে তৈরি হয় এটি। পিনাট বাটারে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এছাড়াও চিনাবাদাম হলো আরজিনিনের একটি প্রাকৃতিক উৎস। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা রক্তনালীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে হৃদপিণ্ড ও ভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। উপকারী এই বাটার যে শুধু ব্রেড দিয়েই খাওয়া যায় সেটা নয়। রুটির পাশাপাশি আরও কিছু খাবারের সঙ্গেও চমৎকার সুস্বাদু লাগে পিনাট বাটার। জেনে নিন কোন কোন খাবারের সঙ্গে এটি খাওয়া যায়।
১। আপেল
আপেল এবং চিনাবাদাম মাখনের সংমিশ্রণ চমৎকার সুস্বাদু। সকালের নাস্তায় আপেল স্লাইস করে পিনাট বাটার লাগিয়ে খেতে পারেন। রাতে ক্ষুধা লাগলেও এটি চমৎকার স্ন্যাকস হতে পারে। শিশুদের জন্য হতে পারে স্বাস্থ্যকর খাবার। ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার আপনার সামগ্রিক সুস্থতায় রাখবে ভূমিকা।
২। ওটস
ওটস খেতে খুব একটা সুস্বাদু নয় বলে অনেকেই খেতে চান না। এর স্বাদ বাড়ানোর জন্য এক চামচ পিনাট বাটার যোগ করতে পারেন। আপেলের মতো এই দুইয়ের সংমিশ্রণটিও ফাইবার এবং প্রোটিন সরবরাহ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
৩। চকোলেট
চকোলেট এবং চিনাবাদাম মাখন খেতে দারুণ সুস্বাদু। চকোলেটের সঙ্গে পিনাট বাটার লাগিয়ে খেতে পারেন স্বাদ ও পুষ্টির জন্য।
৪। কেক ও বিস্কুট
কেক, চিজকেক, ব্রাউনিজ, কুকিজ বআ বিস্কুটের সঙ্গে অনায়াসে খেতে পারেন পিনাট বাটার। শিশুরাও খেতে পছন্দ করবে এদের সংমিশ্রণ। শিশুদের স্কুলের টিফিন হিসেবে দিয়ে দিতে পারেন এগুলো।
৫। আদা
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও আদার সঙ্গে দারুণ লাগে চিনাবাদামের মাখন বআ অইনাট বাটার। কখনও কখনও নুডুলস বা সালাদের মতো খাবারের সঙ্গে একটি উপাদান হিসেবে চিনাবাদাম মাখন থাকে। এর সঙ্গে যদি কিছুটা আদা যোগ করেন, তবে এর স্বাদ আরও বেড়ে যায়। আবার আদা স্লাইস করে পিনাট বাটার লাগিয়েও খেতে পারেন অনায়াসে।