অনেকেরই নিয়মিত পাারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহারের অভ্যাস আছে। বিশেষ করে গরমের দিনে এর ব্যবহার আরও বেড়ে যায়। গরমে অনেকেরই প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করা হয়। ভালো ফল পেতে কেউ কেউ আবার সরাসরি এসব ত্বকে ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভ্যাসে শরীরের নানা ক্ষতি হতে পারে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে সরাসরি ত্বকে পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনলোজি ইনফরমেশন ( এনসিবিআই ) এর একটি গবেষণা অনুসারে, পারফিউম এবং ডিয়োড্রেন্টগুলি ঘর্মগ্রন্থিকে কিছুটা অকেজো করে দেয়। এতে শরীরে ঘাম তৈরি হতে বাধা সৃষ্টি করে। তাছাড়া এগুলি সরাসরি ত্বকে লাগানো ঠিক কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অনেক সময় এর ফলে নানা বিপদ হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, এমন অনেক পারফিউম বা ডিওডোরেন্ট আছে যেগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এসব উপাদান ত্বকে ঘা উৎপন্ন করে, এর ব্যবহারে জ্বালাপোড়া ভাব হয়, চুলকানিও সৃষ্টি করতে পারে।
ত্বকে ডিওডোরেন্ট সরাসরি ব্যবহারে আরও যেসব ক্ষতি পারে-
১. পারফিউম বা ডিওডোরেন্টে থাকা অ্যালকোহল ত্বকের আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়। এতে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কখনো কখনো ডিওডোরেন্টে থাকা নিউরোটক্সিনগুলো স্নায়ুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে।
২. ডিওডোরেন্টে ত্বকে সরাসরি ব্যবহারের ফলে ক্ষত বা ঘা হতে পারে । সেখানে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। এগুলিতে উপস্থিত কিছু রাসায়নিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এতে ক্যানসারের মতো বড় অসুখও দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩. ডিওডোরেন্টে থাকা রাসায়নিক অ্যালজাইমারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলি শ্বাসকষ্টের সৃষ্টি করতে পারে। এর তীব্র গন্ধের কারণে নাকের ফাইবারগুলিরও ক্ষতি হয়। এ কারণে এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। একই সঙ্গে সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা উচিত নয়।
যা করবেন-
সরাসরি ত্বকে না লাগালেও জামাকাপড়ে পারফিউম বা ডিওডোরেন্টে ব্যবহার করতে পারেন। যদি ত্বকে ব্যবহার করা ছাড়া আর কোনও উপায় না থাকে, সেক্ষেত্রে এটি সরাসরি ত্বকে প্রয়োগের আগে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ননি। তার উপরে ডিওডোরেন্ট লাগান। ডিয়োডোরেন্ট ত্বকে লাগানোর পরে কখনই ঘষবেন না। তাহলে এতে থাকা নানা উপাদান ত্বকের ভিতরে চলে যেতে পারে।