যাদের চা ছাড়া দিন চলেই না তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। একটি গবেষণায় জানা গেছে, দৈনিক চায়ের সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘায়ুর সম্পর্ক। যারা চা পান করেন না তাদের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, চা পান করা মানুষদের ৯ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। ‘অ্যানালস অব ইন্টার্নাল মেডিসিন’ নামক একটি জার্নালে এই গবেষণাটি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, চা-তে চিনি বা দুধ যুক্ত করলেও একই ফলাফল দেখা গেছে। তাছাড়া চায়ের উত্তাপের উপরেও ফলাফল নির্ভর করেনি।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর গবেষকরা ইউকে বায়োব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা করেছেন। এতে প্রায় ৫ লাখ নারী ও পুরুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়, যাদের বয়স ৪০ থেকে ৬৯। এতে দেখা যায়, ৮৫ শতাংশই নিয়মিত চা পান করেন। মাদ্রিদের অটোনমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের প্রফেসর ফার্নান্দো রদ্রিগেজ বলেন, এই গবেষণা বলে যে ইউরোপে সবথেকে বেশি প্রচলিত ‘ব্ল্যাক টি’ কার্ডিওভাস্কুলার রোগ থেকে অন্তত ১০ বছরের আয়ু বৃদ্ধি করে মানুষের। যদিও চা খাওয়ার কারণেই তাদের আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছিল এমন সরাসরি প্রমাণ গবেষণায় পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে গার্ডিয়ান রিপোর্ট করেছিল যে, কফি কিংবা চা খেলে স্ট্রোক এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
চীনের তিয়ানজিন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ কফি এবং তিন থেকে পাঁচ কাপ চা মানুষের স্ট্রোক ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনে। গবেষণা বলছে, যারা প্রতিদিন এমন হারে চা বা কফি খান তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩২ শতাংশ কম থাকে।