বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন মানুষের শারীরিক পরিস্থিতি কেমন, তার ওপর নির্ভর করে ওই ব্যক্তি কতটুকু আম খেতে পারবেন। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ মিজ তাসনিম বলেন, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ অনায়াসেই দৈনিক দুইটি আম খেতে পারেন।
সেক্ষেত্রে, ফজলি আম খাওয়াটা বেশি ভালো বলে জানান তিনি।
কারণ ফজলি আমে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, বিটা ক্যারোটিনের পরিমাণ অনেক। তবে যারা কিডনি বা ডায়াবেটিসের রোগী, আম খাওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করা ভালো। কিডনি রোগীদের ডাক্তার ও পুষ্টিবদের সঙ্গে পরামর্শ করে আম খাওয়া উচিৎ। কারণ আমে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
এছাড়া, যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস-এর প্রস্তাব অনুযায়ী ১৯ থেকে ৬৪ বছরের পূর্ণবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৪০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন।তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত খাদ্যতালিকায় এটি ৬০ মিলিগ্রাম। এখন, যেহেতু এক কাপ আমে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে, সেহেতু অন্য কোরনা জটিলতা না থাকলে একজন সুস্থ মানুষ ওই পরিমাণ আম খেতেই পারেন।
এ ছাড়া আমের ক্যালরি এবং শর্করা তুলনামূলক বেশি। তাই কেউ সারাদিনের মোট ক্যালরি চাহিদার বেশি আম খেলে তা আমাদের শরীরে চর্বি হিসেবে জমতে পারে। যার কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।