বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা কাজের ফাঁকে গরম চায়ের সঙ্গে জ্বলন্ত সিগারেট! সাময়িকভাবে হইতো আপনাকে আনন্দ দেয়। কিন্তু এর ফলে আপনি আপনার শরীরের সর্বনাশ ডেকে আনছেন।
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তা কারোর অজানা নয়। এর ক্ষতির বিষয়ে সিগারেটের প্যাকেটেও প্রচার করা হয়। প্রতি বছর ৩১ মে বিশ্বেজুড়ে ঘটা করে তামাক বর্জন দিবস পালন করা হয়। কিন্তু তাতেও বিশেষ কোনো পরিবর্তন আসে না। বেশিরভাগ মানুষই হাতে চায়ের কাপ নিয়ে, ঠোঁটে রাখেন জ্বলন্ত সিগারেট। কিন্তু গবেষণা বলছে, এই অভ্যাস বাড়াতে পারে ক্যানসারের ঝুঁকি।
গবেষণায় জানা গিয়েছে, যারা দিনে অন্তত এক গ্লাস অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং পাশাপাশি দিনে অতিরিক্ত চা পান করেন, তাদের খাদ্যনালিতে ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া ধূমপায়ীরা অতিরিক্ত চা পান করলে ক্যানসার ঝুঁকিও বেশি থাকে।
অ্যানালস অব ইন্টার্নাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত ধূমপান ও মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চা পান করাটা খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তামাক ও অ্যালকোহল দুটো থেকেই দূরে থাকাই হচ্ছে, এই ক্যানসার প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায়। তবে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস না থাকলে শুধু চা পান করা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। তামাক ও অ্যালকোহল দুটো থেকে দূরে থাকাই হচ্ছে এই ক্যানসার প্রতিরোধের ভালো উপায়।
৩০ বছর থেকে ৭৯ বছর বয়সী সাড়ে ৪ লাখ ব্যক্তির ধুমপান, মদ্যপান এবং চা-পান অভ্যাসের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল গবেষণার জন্য। যখন গবেষণাটি শুরু হয়েছিল, তাদের কারোর ক্যানসার ছিলো না। এই সাড়ে চার লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহের পরবর্তী নয় বছরে ১ হাজার ৭৩১ জনের খাদ্যনালির ক্যানসার দেখা দেয়।
যারা অতিরিক্ত চা পান করেন, মদ্যপান করেন এবং ধূমপান করেন তাদের খাদ্যনালির ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে পাঁচগুণ। তাই ধূমপান থেকে নিজেকে দূরে রেখে ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতন হয়ে ওঠা জরুরি।