নাসিম রুমি: শীতের মৌসুম চলে গিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে গরমের সময়। গরমকালে একটু বের হলেই প্রচণ্ড ঘাম হয়। শরীর থেকে অনেকটা পানি বেরিয়ে যায়। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে।
তাই চিকিৎসকরা দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পানির তৃষ্ণা না পেলেও এই পরিমাণ পানি খেতেই হবে। কিন্তু কেন?
চিকিৎসকেরা বলছেন, শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার জন্য পানি খাওয়া জরুরি। কিন্তু সেই পানির পরিমাণ ২ থেকে ৩ লিটারেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কারণ, বেশি পানি খেলে আবার উল্টো বিপত্তি ঘটে।
নিয়মিত ২ থেকে ৩ লিটার পানি শরীরে ঠিক কোন কোন কাজে সাহায্য করে?
১. দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে
দেহের নিজস্ব তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে পানি। পর্যাপ্ত পানি খেলে ঘামের পরিমাণ বাড়ে। আর ঘামলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ঘাম।
২. দূষিত পদার্থ দূর করে
শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না। ঘাম এবং মূত্রের পরিমাণও কমতে থাকে। কিডনির কাজ ঠিক রাখতে গেলেও পানি খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
৩. খাবার হজমে সাহায্য করে
খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে হজমে গোলমাল হতে পারে। খাবার পরিপাক তো বটেই, খাদ্যনালি থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত খাবার নিয়ে যেতেও সাহায্য করে পানি।
৪. অস্থিসন্ধির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখে
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা তরুণাস্থি এবং অস্থিসন্ধির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে পানি। অস্থিসন্ধি নমনীয় রাখতে পানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
৫. রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
রক্ত প্রবাহে গতি আনতেও সাহায্য করে পানি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শরীর হাইড্রেটেড রাখতে দিনে অন্তত পক্ষে ২ লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন।