সারাদিনে কাজের ফাঁকে বেশ কয়েক চা-কফি পান করা হয়ে যায়। অফিস বাদে অফিসের বাইরেও অনেকে চা-কফি পান করেন। বাড়িতে বা কোনো অনুষ্ঠানে গেলেও পান করা হয় চা-কফি। অতিরিক্ত চা-কফি খেলে শরীরে বিপুল পরিমাণে ক্যাফেইন প্রবেশ করে। এই ক্যাফেইন কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ক্যাফেইন রক্তচাপের ওপর প্রভাব ফেলে। অনেক সময় বমিভাব হয়। ভীষণ দুর্বল বোধ করেন চা-কফি পানকারী। এদিকে চা-কফির নেশা ছাড়াও বেশ কঠিন কাজ। ক্যাফেইনের এই ক্ষতিকর নেশা এড়াতে খুব সহজ কয়েকটি উপায় রয়েছে।
অতিরিক্ত ক্যাফেইনে শরীরের যেসব ক্ষতি হতে পারে—
- প্রচণ্ড অস্থির লাগতে পারে।
- উত্তেজিত হয়ে যেতে পারেন।
- প্রচণ্ড উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।
- মেজাজ বারবার হারিয়ে ফেলতে পারেন।
- হাত-পা কাঁপার সমস্যা দেখা দেয়।
- ঘুমের অভাব হয়।
- শরীরের উষ্ণতা বাড়িয়ে দেয় ক্যাফেইন।
- বারবার প্রস্রাবে যেতে হতে পারে।
- শরীর থেকে পানি কমে যেতে পারে।
- মাথা ঘুরতে পারে।
- ক্লান্ত লাগতে পারে।
- হার্টের স্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে।
- প্রথমে ভীষণ চাঙ্গা লাগলেও পরে ক্লান্তিভাব বেড়ে যায়। যে কারণে বারবার চা-কফি টানে
- মস্তিষ্কের ওপরেও প্রভাব ফেলে ক্যাফেইন।
মস্তিষ্কের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে ক্যাফেইন। সাধারণত চা-কফি পান করা হয় মস্তিষ্কের কোশগুলোকে চাঙ্গা করতে। ক্যাফেইন কোশগুলোকে উত্তেজিত করে দেয়। এর ফলে কিছুক্ষণ পর ঘুম ঘুম ভাব ও ক্লান্তিভাব পেয়ে বসে। কাজ করার সময় হিসেব গুলিয়ে যায় অনেকের। বা মাথায় অন্য কথা চলে। এটি ক্যাফেইনের জেরে হতে পারে। মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরার সমস্যাও দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত ক্যাফেইন থেকে।
কী করলে কমবে ক্যাফেইনের প্রভাব, জেনে নিন—
প্রচুর পানি পান: যখনই মনে হবে আপনার শরীর দুর্বল লাগছে, সঙ্গে সঙ্গে পানি পান করুন পর্যাপ্ত। এতে শরীর থেকে ক্যাফেইন বের হয়ে যাবে।
হালকা ব্যায়াম: ক্যাফেইনের ক্ষতিকর প্রভাব দূর করতে হাঁটা, জগিং করা বা সেরকম হালকা ব্যায়াম করা শুরু করুন। এতে শরীর ক্যাফেইনকে দ্রুত হজম করে নেবে।
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: যখন আপনি বেশি পরিমাণে কফি অর্থাৎ ক্যাফেইন গ্রহণ করেন, তখন শরীরে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে যায় ও কাঁপতে থাকে। এ অবস্থা মোকাবেলা করার সবচেয়ে উত্তম উপায় হলো কলা ও ডাবের পানি খাওয়া। কারণ কলা ও ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম ঐ সমস্যা দূর করবে দ্রুত।
কার্বোহাইড্রেডযুক্ত খাবার: রুটি ও ভাতের মতো খাবার খেতে পারেন। এতে শরীরে শক্তি ফিরে আসবে।
ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন: যখন আপনি খুব বেশি খারাপ বোধ করছেন বলে মনে হয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, নিস্তেজ হয়ে গেলে, বমি হলে ও হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত আপনার।