কুমড়ার বীজ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কসহ নানা উপকারী উপাদান। এছাড়াও এতে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার, যা শরীরের জন্য উপকারী। আগে যেখানে কুমড়ার বীজ ফেলে দেওয়া হতো, এখন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এটি ডায়েটে নিয়মিত অন্তর্ভুক্ত করছেন। কেউ এটি টোস্ট করে স্ন্যাকস হিসেবে খান, কেউ বা স্মুদি বা দইয়ে মিশিয়ে খান।
পরিমিত না হলে হতে পারে বিপদ
শরীর ও হাড় মজবুত রাখতে কুমড়ার বীজ সহায়ক হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া বিপদ ডেকে আনতে পারে।
কতটুকু খাওয়া নিরাপদ?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ২৮-৩০ গ্রাম কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। তবে যাদের কিডনি বা লিভারের সমস্যা আছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত।
অতিরিক্ত খেলে কি কি সমস্যা হতে পারে?
হজমের সমস্যা:
কুমড়ার বীজে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা বেশি পরিমাণে খেলে গ্যাস বা পেট ভার হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে থাকা তেল ও ফ্যাটি অ্যাসিড হজমে অসুবিধা তৈরি করতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি:
অনেকে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য কুমড়ার বীজ খান, তবে এতে উচ্চমাত্রার ক্যালরি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
রক্তচাপের সমস্যা:
কুমড়ার বীজ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক, কিন্তু স্বাভাবিকের চেয়ে কম রক্তচাপ থাকলে এটি বিপদজনক হতে পারে। তাই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অ্যালার্জির ঝুঁকি:
কারও যদি কুমড়ার বীজে অ্যালার্জি থাকে তাহলে পেটব্যথা, মাথাব্যথা, ত্বকে চুলকানি বা র্যাশ হতে পারে।
শিশুদের জন্য নয়:
উপকারী হলেও শিশুদের জন্য কুমড়ার বীজ নিরাপদ নয়। এতে থাকা ফাইবার ও ফ্যাটি অ্যাসিড হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়।
কীভাবে খাবেন?
স্মুদি বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে
সালাদের ওপরে ছড়িয়ে
হালকা ভেজে স্ন্যাকস হিসেবে
পরিমিত পরিমাণে কুমড়ার বীজ খেলে এটি শরীরের জন্য উপকারী, তবে মাত্রা ছাড়ালে হতে পারে বিপদ। তাই সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।