ধূমপানের অভ্যাস থাকলে এটি খুব সহজে ছাড়া যায় না। পরিবার, বন্ধুবান্ধব, অফিসের সহকর্মী, এমনকি চিকিৎসকের নিষেধ থাকার পরও ছাড়া যায় না। এদিকে ধূমপানের কারণে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও ধূমপায়ীদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশির কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
শ্বাসনালির প্রকৃতি খুবই নরম। শ্বাসনালির মধ্যে এমন অনেক কোষ থাকে যেগুলো রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। ঘন ঘন ধূমপান করার ফলে সেই কোষগুলো পুড়ে যায়। ফলে ওই স্থানের প্রদাহ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় অনেকাংশে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে।
অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে শরীরে ক্যানসারের মতো মরণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এ ছাড়াও হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়ার মতো সমস্যারও সৃষ্টি হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ জীবনযাপন করতে ধূমপানের অভ্যাস জীবন থেকে বাদ দেওয়া একান্তই জরুরি। তবে আজকে ধূমপান বন্ধ করে দিলে কাল থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে না। ধূমপানের ফলে শরীরের ভেতরে যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার সবটা হয়ত ক্ষতিপূরণ হবে না। তবে এখন ধূমপান ছাড়লে ক্ষতির পরিমাণ আর বেশি দূর এগোবে না।
তাহলে কী উপায়ে ত্যাগ করবেন ধূমপানের অভ্যাস-
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে বদল আনুন : গবেষণা বলছে, আমিষ এবং মাংসজাতীয় খাবার খাওয়ার পরেই মূলত ধূমপান বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে চাইলে কিছু দিন বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খেতে পারেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। বিশেষ করে যোগাসন, প্রাণায়ামের অনুশীলন বেশি করে করতে পারেন। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস ধূমপান করা থেকে আপনাকে বিরত রাখবে।
মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন : অ্যালকোহল মিশ্রিত পানীয়, কোমল পানীয়, চা বা কফি খাওয়ার পরে যোগ্য সঙ্গত হিসাবে ধূমপান করে থাকেন। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে প্রথমে এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলুন।
পছন্দের স্বাদের চকোলেট খেতে পারেন : ধূমপানের অভ্যাস বদলে ফেলুন চকোলেট খেয়ে। চকোলেট বা চিউইং গাম খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হলে ধূমপানের আগ্রহ চলে যাবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন : খারাপ হোক বা ভাল, দীর্ঘদিনের অভ্যাস ত্যাগ করতে সময় লাগে। নিজের চেষ্টায় ধূমপানের আসক্তি ত্যাগ করতে না পারলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।