English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

কর্মক্ষেত্রে হাসি কেন জরুরি

- Advertisements -

বিখ্যাত আমেরিকান অভিনেতা, কমেডিয়ান ও নির্মাতা মেল ব্রুক্স একবার বলেছিলেন, হাসি হচ্ছে মানসিক চাপ, কষ্ট আর মানসিক দ্বন্দ্বের এক শক্তিশালী প্রতিষেধক। প্রাণ খুলে হাসলে যত তাড়াতাড়ি একজনের শরীর ও মন চাপমুক্ত হবে তা আর কোনো কিছুতেই হবে না।

ভারতীয় গণশাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসি এমন এক শক্তিশালী অভিব্যক্তি  যা যেকোনো বাধা ভেঙে দেয়, মানসিক চাপ কমায়। সেই সঙ্গে ইতিবাচক ও সৃজনশীল পরিবেশ তৈরি করে। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে হাসলে তা কাজের পরিবেশ অনেক সহজ ও ইতিবাচক করে তোলে। গবেষণাও বলছে, কর্মক্ষেত্রে হাসলে তা কর্মীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং কাজের উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।

কর্মক্ষেত্রে হাসলে সবচেয়ে বেশি যে উপকার পাওয়া যায় তা হলো মানসিক চাপ কমা। কর্মক্ষেত্র মানেই কাজের  চাপ। অনেক সময় কর্মীরা সারাক্ষণই চাপে থাকে,সেখানে হাসতে পারলে তারা কিছুটা চাপমুক্ত বোধ করেন।

অন্যদিকে, হাসলে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা প্রাকৃতিকভাবে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে সুখের অনুভূতিকে উন্নীত করে।

আরও বলা যায়, কর্মক্ষেত্রে হাসলে সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হয়। যখন অনেকে একসঙ্গে হাসে তখন পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ, ঐক্যতান বাড়ে। সেই সঙ্গে টিমওয়ার্ক ভালো হয়। সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে উৎপাদনশীলতা বাড়ে। সেই সঙ্গে কাজের পরিবেশ ইতিবাচক হয়।

এসব ছাড়াও কর্মক্ষেত্রে যদি কর্মীরা চাপমুক্ত থাকে, তাদের কাজের পরিবেশ ইতিবাচক হয় তাহলে তারা বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে দ্রুত। হাসি মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে। যার ফলে কাজও ভালো হয়।

কর্মকর্তাদের উচিত কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা যাতে কর্মীরা সহকর্মীদের সঙ্গে কিছু সময় হলেও হাসতে, মজা করতে পারেন। এজন্য অফিসে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন