সারাদিন অফিস করে অনেক সময় মাথায় যন্ত্রণা শুরু হয়। বাসায় ফিরেও সহজে ওই ব্যথা কমতে চায় না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যাধিক মানসিক চাপ পড়লে মাথাব্যথা শুরু হয়। মাথা দপদপ করে, রগের দুপাশে অসহ্য যন্ত্রণা হয় । কখনও কখনও মাথা এবং ঘাড় জুড়ে সেই ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। রোজ রোজ এক যন্ত্রণা হতে থাকলে ভয় পেয়ে যাবেন না। বরং কিছু টিপস অনুসরণ করুন।
মাথাব্যথার সমস্যা থাকলে স্বস্তি পেতে আইস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। রুটিন মেনে যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করতে পারেন। স্ট্রেচিং এবং যোগব্যায়াম করা বা নিয়মিত ব্যায়াম করলে মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলছেন বিশেষজ্ঞরাই। যাদের মাথা ব্যথার সমস্যা রয়েছে তাঁদের একটানা হেডফোনে গান না শোনাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
এছাড়াও মাথাব্যথা কমাতে আরও যা করতে পারেন-
অন্ধকার ঘরে মোবাইল বা কম্পিউটার ঘাঁটবেন না। স্ক্রিনের আলোয় চোখে প্রভাব পড়ে এর থেকে মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। চোখের সমস্যা থাকলেও অনেক সময় মাথা ব্যথা বাড়তে পারে।
অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না। জোরে আওয়াজের মধ্যে থাকলেও মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। বরফ সেঁক দিলে মাথা যন্ত্রণায় আরাম পেতে পারেন। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তারা সতর্ক থাকুন।
আদা দিয়ে চা করে খেলে মাথা যন্ত্রণা কমে যায়। শুধু তাই নয়, কাঁচা আদা চিবিয়েও খেলেও মাথাব্যথায় আরাম পাবেন। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ২ লিটার পানি খেলে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনার যদি মাথা ব্যথা হয় তবে আপনি সঠিক পরিমাণে পানি পান করুন। মাথাব্যথায় স্বস্তি পাবেন।
যাদের মাইগ্রেন কিংবা সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাদের মাথা ব্যথার ধরনটা একটু আলাদা। কারও মাথার একটা অংশে যন্ত্রণা হয়। কারও বা তীব্র মাথা ব্যথা হয় সমস্ত অংশেই। হঠাৎ করে মাথা ব্যথা শুরু হলে অনেকেই একগাদা ওষুধ খান। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মুঠো মুঠো ওষুধ খাওয়া মোটেই ভালো কাজ নয়। ওষুধ না খেয়েও সাময়িক ভাবে মাথা যন্ত্রণা কমানো সম্ভব। তবে বেশি যন্ত্রণা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।