বগুড়ায় সারিয়াকান্দি ও জামালপুরের মাদারগঞ্জে সঙ্গে যমুনা নদীতে ফেরী (সী-ট্রাক) চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের জামথৈল ঘাটে প্রধান অতিথি হিসেবে ফেরি চলাচলের উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ এলাকার সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন শেষে জামথৈল ঘাট থেকে নদী পার হয়ে ফেরিটি দুপুর আড়াইটায় সারিয়াকান্দি উপজেলার কালিতলা ঘাটে এসে পৌঁছে।
পরে বিকেলে সেখানে এক সুধী সমাবেশে প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, যমুনায় শুধু ফেরি সার্ভিস চালুই নয় বরং যমুনা নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যমুনা নদীর ভাঙন রোধসহ তীরবর্তী মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে ‘যমুনা করিডোর’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় নদীর দুই তীরে স্যাটেলাইট সিটি গড়ে তোলা হবে। এখন ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রী পরিবহণে ফেরি সার্ভিস চালু হলেও আগামী ডিসেম্বর থেকে ভারি যানবাহন পারাপারের জন্য আরও বড় পরিসরে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ফেরি ঘাটের ইজাদার জাহিদুর রহমান উজ্জল জানান, বর্তমানে ফেরিতে ২০০ আসনে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়াও প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী মিনি ট্রাক পারাপার করা হবে। ফেরি সার্ভিস চালু হলে এক ঘণ্টায় যাত্রীরা নদী পাড়ি দিতে পারবে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের সঙ্গে বগুড়া জেলার যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হবে।
কাজলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামথৈল কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, ফেরি সার্ভিস চালু হলে অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হবে।
নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ফেরি সার্ভিস না, প্রথমে আমরা সি-ট্রাক চালু করব। তারপর ছয় মাস পর ফেরি সার্ভিস চালু করা হবে।