করোনার লাগামছাড়া রূপ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না খুলনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও উপসর্গে খুলনার চারটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার (০৯ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে তাদের মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া ২৭ জনের মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১১ জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৫, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১ জন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনা হাসপাতালের ফোকালপারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার বাবুল মোল্লা (৫০), হোসনে আরা (৫৫), আবুল কালাম আজাদ (৪৬), রোকেয়া (৬০),যশোরের জুলেখা (৫০), বাগেরহাটের কুমুদ মন্ডল (৭৮) ও নড়াইলের পুষ্প রাণী (৬৫)। এছাড়া হাসপাতালের ইয়েলো জোনে উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
বেসরকারি গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- যশোরের নওয়াপাড়ার কুলসুম বেগম (৭০), ফাতেমা (৭৫) ও আনোয়ারা (৪৫), খুলনার রূপসার মর্জিনা বেগম (৬৫), দিঘলিয়ার আব্দুল হাকিম (৪৫), খুলনা সদরের রুবিনা (৫০), খালিশপুরের সেলিম সিকদার (৫৮), খুলনার মোস্তফা (৪০) ও ডুমুরিয়ার বিঞ্চু মন্ডল ও আবেদা (৬৫)।
জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, খুলনা মহানগরীর বানিয়াখামার এলাকার মমতাজ বেগম (৩৫), মিয়াপাড়ার শামীম আরা (৬০), রূপসার মোজাফফর শেখ (৬০), একই উপজেলার হানিফ মোড়ল (৬৫) এবং নড়াইলের মুলতাহির এলাকার রামেসা খাতুন (৭৫)।
শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ফোকাল পারসন ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাটের ইউসুফ আলী (৭০) নামের এক রোগী মারা গেছেন।