দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি এবং তাঁকে নিগৃহীত করার ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ মাগুরা জেলা জাসদ মানববন্ধন করেছে। সকাল এগারোটায় মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে মাগুরা জেলা জাসদ, মাগুরা জেলা নারী জোট, জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন মাগুরা জেলা জাসদের সভাপতি সৈয়দ অহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী, মাগুরা জেলা জাসদের সহ-সভাপতি কবি মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ফিরোজ। এছাড়া মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান।
এছাড়াও মানববন্ধনে জাসদের নেতা কর্মীদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসদের নারী বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমেনা খাতুন লাবণী, মাগুরা জেলা জাসদের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম অধিকারী, জাসদ নেত্রী হালিমা খাতুন, জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা আইয়ুব আলী। এ ছাড়াও মানববন্ধনে শ্রীপুর উপজেলা জাসদ ও শালিখা উপজেলা জাসদ সংহতি প্রকাশ করে।
মানববন্ধনে জেলা জাসদের সভাপতি সৈয়দ অহিদুল ইসলাম বলেন, একজন নারী সাংবাদিককে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে যেভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতন করা হয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকারের সেবকরা এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। এই অন্যায়ের অবশ্যই প্রতিকার হতে হবে। মাগুরা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সমীর চক্রবর্তী বলেন, করোনা দুর্যোগ প্রতিরোধে দেশের সব মানুষ এক নতুন লড়াই-এ অবতীর্ণ। দেশের গণমাধ্যম সবার জন্য টিকা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও জবাবদিহিতা তৈরি কাজ কাজ করছে। দেশপ্রেমিক সরকারি কর্মকর্তারাও কাজ করছেন।
কিন্তু সেই সময়ে সচিবালয়ের অভ্যন্তরে একজন পরিচিত নারী সাংবাদিককে পাঁচ ঘন্টা আটকে রেখে যেভাবে নিগৃহীত করা হয়েছে তা নিন্দনীয়। এ ধরনের ঘটনা কোনাভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জাসদ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার দাবি করছে। একই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মুক্তি দাবি করছে।
মাগুরা জেলা জাসদের সহ-সভাপতি কবি মিয়া ওয়াহিদ কামাল বাবলু বলেন, কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়, তবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে যে কোনো আইন ব্যবহার কাম্য হতে পারে না। যে প্রক্রিয়ায় একজন নারী সাংবাদিককে ঘন্টার পর ঘন্টা সচিবালয়ে আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তাতে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তা নয়, সরকারেরই ক্ষতি হয়েছে। এ কারণেই সরকারের উচিত সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করা বিচারের মুখিমুখি করা। এদিকে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সদস্য জাহিদুল আলম এক বিবৃতিতে বলেছেন, সুশাসন রক্ষা ও প্রতিষ্ঠায় জবাবদিহিতা তৈরির বিকল্প নেই। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে সরকারের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সাংবাদিক রোজিনাকে দ্রুত মুক্তি দেওয়াটাই হবে এখন সুবিবেচনা। বিবৃতিতে তিনি রোজিনার দ্রুত মৃক্তি দাবি করেন।