আলোচিত রহিমা বেগম এবং তাঁর মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ অন্যদের শাস্তি দাবি করেছেন অপহরণ মামলায় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের পরিবার এই অপহরণ নাটক করে। যেটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।
আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলে অপহরণ মামলায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।এ সময় তারা মরিয়ম মান্নানের পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে রহিমা বেগমের পরিবারকে ভুক্তভোগীরা ‘মামলাবাজ’ আখ্যা দিয়েছেন। তারা বলেন, বিভিন্ন সময় প্রতিবেশী বা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা করে এই পরিবার। এমনকি কয়েক বছর আগে ৯ বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দিয়েছিল মরিয়ম মান্নানের পরিবার।
প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করতে এই পরিবারটি পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগমের অপহরণ নাটক সাজিয়েছে দাবি করে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একই সঙ্গে নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি বলেন, ‘রহিমা বেগম ও তার সন্তানরা এলাকায় ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করেছে। একের পর মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করছে। মরিয়মের বাবার তিনটি বিয়ে, ভুক্তভোগী হেলাল শরীফ ও গোলাম কিবরিয়া তাদের প্রথম পক্ষের ছেলে মিজানুর রহমানের জমি কিনেছিলেন। সেটি কাল হয়েছে তাদের জন্য। ’
এ সময় অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, রফিকুল আলম পলাশ ও নুরুল আলম জুয়েল এবং প্রতিবেশী হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মালিহা মহিউদ্দিন মাহি বলেন, ‘রহিমা বেগমের কাছে ব্যাগ, কাপড়চোপড়, ওষুধ, প্রশাধনী সামগ্রী উদ্ধার হয়। তিনি জন্ম নিবন্ধন পরিবর্তনের জন্য বোয়ালমারী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলেন। যা কোনোভাবে অপহৃত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। তা ছাড়া পুলিশ ও আদালতে দেওয়া বয়ানেও পার্থক্য রয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে। ’