খুলনার সোনাডাঙ্গায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলয় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া চারজনকে আট বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) ফরিদ আহমেদ জানান, মত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), রাব্বি হাসান পরশ, মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম (পলাতক) ও মিম হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দুই দিন আগে আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে ঘটনার শিকার মেয়েটির পরিচয় হয়। ওই সূত্র ধরে আসামি ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইল ফোনের মধ্যমে মেয়েটিকে ডেকে নেয়। তারা উভয়ে নগরীর সাহেবের কবরখানায় দেখা করে। পরে মেয়েটিকে মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারি কলোনির ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে শান্ত। এই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে উপিস্থিত অন্যরা। ধারণকৃত ভিডিওটি দেখিয়ে অন্যা আসামিরাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণ শেষে আসামিরা ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়। পরে ধর্ষণের শিকার শিশু তার বড় বোনকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরদিন বড় বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ আসামির নাম উল্লেখসহ মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।